হার্টবিট ডেস্ক
দেশে-বিদেশের স্বীকৃত কোনো মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিৎসা বিষয়ে অর্জন করেননি কোনো প্রকার ডিগ্রি। তবে জ্ঞান না থাকলেও গ্রামে বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা করতেন তিনি। এভাবেই গ্রামের অসহায়, খেটে-খাওয়া মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন মোটা অংকের টাকা। এমনকি টিউমারের চিকিৎসায় ব্যবহার করতেন অ্যাসিড।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এমনই এক ভুয়া চিকিৎসক ও তার সহযোগীকে আটক করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার ওমরপুর খোঁচপাড়া গ্রামের আদর্শ চিকিৎসালয় থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। পরে রাতে র্যাব-৫, সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
আটকরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার ওমরপুর খোঁচপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম সুফিয়ানের ছেলে মো. মাসুম আলী (৩২) ও তার সহযোগী শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর টিকোশ গ্রামের একরামুল হকের ছেলে মো. আব্দুল মতিন (২০)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে এমন ভুল চিকিৎসা দিয়ে আসছে মাসুম আলী ও তার সহযোগী। জানা যায়, সম্প্রতি স্থানীয় এক নারী তার মাথার টিউমার অপারেশন করতে ভুয়া চিকিৎসক মাসুম আলীর কাছে যায়। তিনি টিউমার অপারেশন না করে চিকিৎসা হিসেবে সেখানে অ্যাসিড প্রয়োগ করলে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে র্যাব সরেজমিনে তদন্তকালে বিষয়টির সত্যতা পায়। পরে ভুয়া চিকিৎসক ও তার সহযোগীকে আটক করতে অভিযান শুরু করে।
র্যাব আরও জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখার পর তাদের আটক করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কোম্পানী অধিনায়ক লেপটেন্যান্ট কমান্ডার রুহ-ফি-তাহমিন তৌকির এবং কোম্পানী উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি প্রেসক্রিপশন প্যাড, এক সেট এনালগ বিপি মেশিন, একটি টুল বক্স, ১১টি কাঁচি ও একটি ভুয়া প্রেসক্রিপশন উদ্ধার করেছে র্যাব। তাদের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Discussion about this post