হার্টবিট ডেস্ক
রোগীর দেহে ডেঙ্গুর একাধিক সেল টাইপ থাকলে ইনফেকশনের চান্স বেশি থাকে। একইসঙ্গে সিভিয়ার ডেঙ্গুরও আশঙ্কা থেকে যায়। এমনটি জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সারাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, কক্সবাজারে আমাদের টিম ডেঙ্গু নিয়ে কাজ করেছে। সেখানে ডেঙ্গু সেল ডেন-৩ এর সঙ্গে ডেন-১ এর উপস্থিতি দেখা গেছে।
তিনি বলেন, যদি কয়েকটি সেল টাইপ একসঙ্গে থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে ইনফেকশনের চান্স বেশি থাকে, সিভিয়ার ডেঙ্গুর আশঙ্কাও থেকে যায়।
তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আইইডিসিআর ডেঙ্গুর সেল পর্যবেক্ষণ করছে। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুর চারটি ধরন পাওয়া গেছে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত আমাদের সার্কুলেশনে ডেন-১ ও ডেন-২ ছিল। ২০২১ সাল থেকে দেখছি ডেন-৩ এর প্রকোপ। ২০২১ সালে এটি শতভাগ ছিল। কিন্তু ২০২২ সালে এসে দেখছি যে, ডেন-৪ এর উপস্থিতি এখন পর্যন্ত ১০ শতাংশ।
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, ২০১৮ সালের পর ডেন-১ এর সেল উপস্থিতি আমাদের স্যাম্পল কালেকশনে পাইনি। কিন্তু এখন সেটা আমরা কক্সবাজারে পাচ্ছি, যদিও ঢাকায় পাচ্ছি না। কক্সবাজারে ডেন-১, ডেন-৩ ও ডেন-৪ এক সঙ্গে অ্যাকটিভ। বাংলাদেশ তো ছোট রাষ্ট্র। আজ ঢাকা, কাল কক্সবাজার। এভাবে মানুষের মুভমেন্ট হচ্ছে। এভাবে সব সেলের ডেঙ্গু ছড়াতেই পারে।
ডেঙ্গুর সংক্রমণরোধে যে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, তা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। অনেকের মতে ব্যবহৃত কীটনাশক ডেঙ্গু প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশই অকার্যকর। কী ধরনের কীটনাশক এখন ব্যবহার করা হচ্ছে? কোনো সার্ভে বা গবেষণা রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, আমরা কীটনাশকের কোনো সার্ভে করি না। বিএডিসির চাহিদায় স্যাম্পল পাঠালে তখন আমরা দেখি। তারা কোড নম্বর পাঠালে সেভাবেই গোপনীয়তার সঙ্গে বায়োপসি টেস্টের মাধ্যমে বলে দিই। আমরা কিন্তু জানি না তারা কোন ধরনের কীটনাশক টেস্টে পাঠিয়েছে। আবার কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে তাও জানি না।
Discussion about this post