হার্টবিট ডেস্ক
গাম্বিয়ায় ভারতীয় কাশির সিরাপ সেবনে ৬৬ শিশু মৃত্যুর পর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রপতি অ্যাডামা ব্যারো।
আজ শনিবার (৮ অক্টোবর) গাম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি অ্যাডামা ব্যারোর বরাদ দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)।
গাম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি বলেন, আমদানি করা কাশির সিরাপ সেবন করার কারনেই মারাত্মক কিডনি জটিলতায় গত তিন মাসে ৬৬টি শিশু মারা গেছে। আমি আশ্বাস দিচ্ছি যে সরকার এই ঘটনার শেষ পর্যন্ত যাবে। আমরা এটাকে বেশ গুরুত্ব দিয়েই দেখছি। আমদানি করা ওষুধের উপর কড়াকড়ি নিয়ন্ত্রণসহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। সেই সাথে দেশের সকল নাগরিককে আরও সতর্ক হওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।
এর আগে,বুধবার (৫ অক্টোবর) ভারতীয় মাইডেন ফার্মা কোম্পানির ৪ ধরনের কাশির সিরাপ সেবনে গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগের পর সতর্কতা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, ৬৬ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ও কিডনির অসুস্থতার সঙ্গে এই সিরাপগুলোর সম্ভাব্য সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। কফ সিরাপগুলো তৈরি করেছে ভারতীয় মাইডেন ফার্মাসিটিক্যালস। কোম্পানিটি সিরাপগুলোর নিরাপত্তা দিয়ে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এতে ‘অগ্রহণযোগ্য’ পরিমাণ ডাইথাইলিন গ্লাইকোল ও ইথিলিন গ্লাইকোল রয়েছে, যা খেলে বিষক্রিয়া হতে পারে।
সতর্ক বার্তা দিয়ে ডব্লিউএইচও জানায়, সিরাপগুলো সেবনের ফলে গুরুতর অসুস্থ বা মৃত্যু হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। শুধু গাম্বিয়াতে এই ওষুধগুলো চিহ্নিত করা হলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে অন্য কোনো দেশ বা অঞ্চলেও এসব সিরাপ সরবরাহ করা হয়ে থাকতে পারে। চিহ্নিত ৪ টি সিরাপ হচ্ছে প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, মেকফ বেবি কফ সিরাপ এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ। মাইডেন ফার্মার ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসব ওষুধ স্থানীয়ভাবে বিক্রির পাশাপাশি এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে রপ্তানি করা হয়।
Discussion about this post