ডা. রকিবুল ইসলাম (রকিব)
রোগের লক্ষণ
শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে এ রোগের লক্ষণে কিছুটা পার্থক্য আছে।
শিশুদের ক্ষেত্রে
* অস্বাভাবিকভাবে মাথা বড় হতে থাকে
* বমি হয়
*শিশুর খাওয়া-দাওয়া কমে যায় এবং দুর্বল হয়ে যায়
* শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বিলম্ব হয়
* শিশু সব সময় বিরক্ত থাকে এবং ওপরের দিকে তাকাতে অসুবিধা হয়।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে
*মাথা ব্যথা
*চোখে কম বা ঝাপসা দেখা
*বমি ভাব বা বমি হওয়া।
রোগের কারণ
*মস্তিষ্কে পানি চলাচলের রাস্তা জন্মগতভাবে কোথাও বন্ধ হয়ে যাওয়া।
* ব্রেইন টিউমারের চাপে বা মস্তিষ্কে সংক্রমণ বা মেনিনজাইটিসের কারণে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে
* স্ট্রোক বা মাথায় আঘাতের পর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে, সেই রক্ত মস্তিষ্কে পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে দিলে এ রোগ হতে পারে।
সাধারণ চিকিৎসা
শান্ট সার্জারি
চামড়ার নিচ দিয়ে একটি টিউবের মাধ্যমে ব্রেইনের পানির সঙ্গে পেটের সংযোগ (শান্ট) কেটে দেওয়া হয় এই প্রক্রিয়ায়। অতিরিক্ত পানি তখন পেটে চলে যায়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
* ঘন ঘন সংক্রমণ হয়, তখন টিউব খুলে ফেলতে হয় এবং পরবর্তী সময়ে আবার অপারেশনের প্রয়োজন হয়।
*টিউব অনেক ক্ষেত্রে ব্লক হয়ে যায়, তখন আবার অপারেশনের মাধ্যমে টিউব পরিবর্তন করতে হয়।
* বোশ কাটাছেঁড়ার প্রয়োজন হয়।
* তিন দিন বা তার বেশি হাসপাতালে থাকতে হয়।
সর্বাধুনিক চিকিৎসা ইটিভি
অপারেশন
এই পদ্ধতিতে মাথার খুলিতে ছোট একটি ফুটো করে ব্রেইনের মাঝেই একটি ছিদ্র করা হয়। এই ছিদ্রপথ দিয়ে অতিরিক্ত পানি রক্তের সঙ্গে মিশে যায়।
সুবিধা
* সাধারণত সংক্রমণ হয় না।
* কোনো টিউবের প্রয়োজন নেই।
* বড় কাটাছেঁড়ার প্রয়োজন হয় না।
* মাত্র এক দিন হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন হয়।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক এবং ব্রেইন, স্পাইন ও স্ট্রোক সার্জন, নিউরোসার্জারি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
Discussion about this post