হার্টবিট ডেস্ক
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তবে এসব মৃত্যুর সঠিক তথ্য দিতে পারছে না সিভিল সার্জন কার্যালয়। গত বুধবার পর্যন্ত সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ৫ জনের মৃত্যুর তথ্য দেয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার আরো এক মৃত্যুর তথ্য দিয়ে ডেঙ্গুতে সবমিলিয়ে ৬ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়।
অথচ গতকাল পর্যন্ত কেবল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালেই ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে চট্টগ্রামে। এর মাঝে বেসরকারি এভারকেয়ার, পার্কভিউ, মেডিকেল সেন্টার ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে একজন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার (গতকাল) চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১০ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়।
বাকি ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে চমেক হাসপাতালে। এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেলেও সিভিল সার্জন কার্যালয় ৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নিয়েও যথাযথ তথ্য দিতে পারছে না সরকারি দপ্তরটি। তথ্য ঘাটতির কথা স্বীকার করলেও বেসরকারি হাসপাতালগুলো সময়মতো রিপোর্ট না দেয়ায় এ জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি সিভিল সার্জন কার্যালয় সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে, আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। চলতি মৌসুমে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ৭৭৮ জনের ডেঙ্গুতে আক্রান্তের তথ্য জানিয়েছে দপ্তরটি। যদিও মোট আক্রান্তের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। কারণ, কেবল চমেক হাসপাতালেই গতকাল পর্যন্ত ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মাঝে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এ তথ্য নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, ৬ মৃত্যুর মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে সেপ্টেম্বরে। আর ২ অক্টোবর আরো ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৬ ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন জানিয়ে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, বর্তমানে ৬১ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ডেঙ্গুর প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। তবে রোগী বাড়লেও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। মেডিসিনের তিনটি ইউনিটে আলাদা করে ডেঙ্গু কর্ণার করা আছে। সেখানেই ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া শিশু বিভাগে শিশু রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
Discussion about this post