হার্টবিট ডেস্ক
চলমান করোনা টিকার ক্যাম্পেইনে গত চারদিনে সোয়া কোটি ভ্যাকসিন প্রদান করেছি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এশিয়াতে প্রথম ও বিশ্বে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। এখন পর্যন্ত আমরা ৩১ কোটি ভ্যাকসিন দিয়েছি। চলমান ক্যাম্পেইন গত চারদিনে সোয়া কোটি ভ্যাকসিন প্রদান করেছি। আগামী তিন দিনে আরও দেড় কোটি ভ্যাকসিন দিতে পারবো বলে আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। প্রাইমারি স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে সরকার বদ্ধ পরিকর। প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে ভালো করলে, আমাদের স্বাস্থ্য সেবা ভালো হবে। কমিউনিটি ক্লিনিক, ফ্যামিলি হেলথ কেয়ার, ইউনিয়ন হেলথ কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে আমরা প্রাইমারি স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করি।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রাইমারি স্বাস্থ্য সেবায় যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না। এই স্বাস্থ্য সেবায় যা যা দেওয়া দরকার, সেটা আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। স্কুল হেলথ কেয়ারে জোর দিচ্ছি, যেন ছেলে-মেয়েরা স্বাস্থ্য ও খাদ্য সম্পর্কে সচেষ্ট হয়।’
তিনি বলেন, ‘অনেক ডায়গনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধন নেই। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। যাদের চিকিৎসা দেয়ার সার্টিফিকেট নাই, তাদের আমরা চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে দিবো না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাইমারি হাসপাতাল, ডায়গনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদেরকে বলেছি, তাদের সেবার মান উন্নয়ন করতে হবে। সেবার মানকে উন্নত করতে আমরা ক্যাটাগরি ঠিক করে দিব। এ, বি ও সি তিন ক্যাটাগড়িতে ভাগ করে দিব। হাসপাতালের বেড, যন্ত্রপাতি ও জনবলের উপর নির্ভর করে ক্যাটাগরি নির্ণয় করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘যে ক্যাটাগরির যে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার উপযোগী সেই প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য সেবা দিতে পারবে, তার বাইরে সেবা দিতে পারবে না। পাশাপাশি বিভিন্ন হাসপাতালে বিভিন্ন রকমের ফি নির্ধারণ করা আছে, সেটাকেও আমরা আলোচনা করে ফি নির্ধারণ করে দেওয়ার চেষ্টা করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়া কমে যাবে। এখনও অনেক লোক বিদেশে চিকিৎসা নেয় এবং আমাদের কষ্টে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। আমাদের দেশের স্বাস্থ্য সেবার আরও ভালো করতে পারি, তাহলে লোক বিদেশে যাবে না। এই টাকাটা দেশেই থাকবে।’
Discussion about this post