হার্টবিট ডেস্ক
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে ২৮৫ এবং সিজারিয়ান ডেলিভারি হয়েছে ৭৫টি। গত দুই মাসে মোট ডেলিভারি সংখ্যা ৩৬০টি। এতে মাসে গড়ে ১৮০ জন গর্ভবতী নারীকে ডেলিভারি সেবা দিচ্ছে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের ভেরিফাইড পেইজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, যে কোনো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য এমন সেবা দিতে পারা নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়। কিন্তু পেছনের গল্পটা একটু অন্যরকম। ডি এস এফ কার্যক্রম চালু থাকার কারণে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পূর্বে বিভিন্ন সময় জাতীয়ভাবে পুরস্কৃত হলেও ১০০ শয্যার কাজ শুরু হওয়ার কারণে হাসপাতালের একটা বড় অংশ ভেঙ্গে ফেলা ও গাইনি, সার্জারি এবং অ্যানেসথেসিয়া কনসালটেন্টদের বদলিজনিত কারণে হঠাৎ করেই হাসপাতালে ডেলিভারি মারাত্নকভাবে হ্রাস পায়। সিজার বন্ধ থাকায় নরমাল ডেলিভারিও কমে যায়।
এ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহেদ জিতির উদ্যোগে গাইনি ও অ্যানেসথেসিয়া কনসালটেন্টের পদায়ন হয়। গাইনি কনসালটেন্ট পদায়ন জটিলতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পার-২ অধিশাখার সহকারী পরিচালক ডা. রওশন জাহান আক্তার আলো সহায়তা করেন। এরপর শুরু হয় রোগী বাড়ানোর চেষ্টা।
এতে আরও বলা হয়েছে, গাইনি কনসালটেন্ট ডা. ফাহমিদা নীলা ও স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপি) সহযোগিতায় রোগী যাতে যেকোনো পজিশনে ডেলিভারি করতে পারে, সেজন্য কাঠের একটি চেয়ারকে সাইকেলের টায়ার কেটে পাম্প করে ফোমের ভেতর ঢুকিয়ে রেক্সিন দিয়ে পেঁচিয়ে বার্থ চেয়ার বানানো হয়। বাংলাদেশে একমাত্র গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই এখন এভাবে ব্যায়াম ও অন্যান্য উপায়ে নরমাল ডেলিভারির ট্রায়াল করে সিজারিয়ান সেকশন করা হয়।
স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের ভেরিফাইড পেইজ থেকে আরও জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার উদ্যোগে চালু করা হয় দুটি হট লাইন নাম্বার। প্রসূতি রোগীদের গর্ভকালীন চেকআপের সময় ফোন নাম্বার রেখে দেওয়া হয়। রোগীর ৩৫ সপ্তাহে তাদের ফোন করে ডেলিভারির জন্য হাসপাতালে আসতে বলা হয়। মাঠ কর্মীদের মাধ্যমে চালু করা হয়েছে বিশেষ রেফারাল সিস্টেম। যাতে দালাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রোগী সরাতে না পারে, তাই মিডওয়াইফদের সাথে প্রসূতি রোগীর সরাসরি যোগাযোগের জন্য চালু করা হয়েছে প্রসূতি সেবা হটলাইন। গর্ভবতী রোগীদের সহায়ক হিসেবে ইউএনএফপিএ‘র সহায়তায় ছয়জন ওয়েলকাম পারসন আর দুজন ক্লিনার সেবা দিচ্ছে।
Discussion about this post