হার্টবিট ডেস্ক
পৃথিবীতে তিন হাজারের বেশি প্রজাতির মশা থাকলেও এর মধ্যে একশোরও কম প্রজাতি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। ক্ষতিকর সেই মশাকেই মানুষের কাজে লাগানোর একটা উপায় বের করেছেন বিজ্ঞানীরা।
মশা থেকে যে ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ায়, সেই ম্যালেরিয়ার টিকা দিতে মশাকেই ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এনপিআরের (ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও, ইউএস) একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে ২৬ জনকে নিয়ে একটি ছোট ক্লিনিকাল ট্রায়াল চালানো হয়েছে। এই ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের শরীরে ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক ঢোকানো হয়েছে মশার কামড়ের মাধ্যমে। পরীক্ষার ফলাফল সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে।
ক্যারোলিনা রিড নামে একজন স্বেচ্ছাসেবকের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছে – – এনপিআর। এতে বলা হয়েছে, প্রথমে একটি কার্ডবোর্ডের ভেতরে ২০০টি মশা রাখা হয়। তারপর ওই কার্ডবোর্ডের ভেতরে হাত দেন ক্যারোলিনা রিড। তারপর কার্ডবোর্ডের ভেতরে থাকা মশাগুলো ক্যারোলিনার হাতে কামড়াতে শুরু করে।
তবে এই মশাগুলো জেনেটিক্যালি মোডিফায়েড। এই মশাগুলো ম্যালিরেয়ার জন্য দায়ী প্লাজমোডিয়ামের বাহক হলেও জেনেটিক্যালি মোডিফায়েড হওয়ার কারণে এতে সংক্রমিত হয়ে মানুষ অসুস্থ হবে না।
গবেষকদলের প্রধান ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ড. শন মারফি বলেন, আমরা মশাগুলোকে হাজার খানেক উড়ন্ত সিরিঞ্জের মতো করে ব্যবহার করেছি।
এর আগেও অবশ্য একই ধরনের পরীক্ষা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
এবারের পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে অংশগ্রহণকারীদের কয়েকজন কয়েকমাসের জন্য ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত ছিলেন। এ পরীক্ষার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কার্যকারিতা। ফলাফল অনুসারে এর কার্যকারিতা ৫০ শতাংশের আশপাশে।
Discussion about this post