হার্টবিট ডেস্ক
অতিরিক্ত পরিশ্রম কিংবা দীর্ঘক্ষণ এক স্থানে বসে থাকার কারণে ব্যাকপেইন একটি সাধারণ সমস্যা। দীর্ঘক্ষণ যারা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন, তাদের মধ্যে এই সমস্যাটা বেশি লক্ষণীয়। এটি গুরুতর প্রভাব ফেলে না বলা যায়। ঠান্ডা সেঁক কিংবা হালকা স্ট্রেচিংয়েই সেরে ওঠে দ্রুত। আর স্বাভাবিকভাবেই ব্যাকপেইনের সমস্যাকে তেমন একটা গুরুত্ব দেন না অনেকেই। তবে আঁতকে ওঠার মতো বিষয় এই যে, ব্যাকপেইন কিন্তু হতে পারে ক্যানসারেরও অন্যতম এক লক্ষণ।
বিশেষ করে দীর্ঘদিন ধরে পিঠ ও কোমরের ব্যথায় ভুগলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াটা জরুরি। কারণ, প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্ত না হলে তা পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। চলুন আগে জেনে নেয়া যাক কোন তিন ক্যানসারের লক্ষণ হিসেবে ব্যাকপেইন হতে পারে।
মূত্রাশয় ক্যানসার: মূত্রাশয় হলো তলপেটের একটি অঙ্গ, যা প্রস্রাব সঞ্চয় করে। পিঠের নিচের অংশে ব্যথা মূত্রাশয় ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।ইয়েল মেডিসিন অনুসারে, মূত্রাশয়ের গভীরতম টিস্যুতেই সাধারণত টিউমার বড় হতে থাকে। তলপেটে ব্যথা সাধারণত মূত্রাশয় ক্যানসারের গুরুতর লক্ষণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।মূত্রাশয় ক্যানসারের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে ঘনঘন প্রস্রাব, প্রস্রাবে রক্ত ও প্রস্রাবের সময় ব্যথা।
মেরুদণ্ডের ক্যানসার: স্পাইনাল কর্ড ও মেরুদণ্ডের কলামের ক্যানসারও পিঠের ব্যথার কারণ হতে পারে। যদিও এটি বিরল। মেরুদণ্ডে টিউমার হলে ব্যাকপেইন হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তবে এই ক্যানসার শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে না।মূত্রাশয় ক্যানসারের মতোই মেরুদণ্ডের ক্যানসারের ক্ষেত্রেও পিঠে ব্যথা প্রাথমিক এক লক্ষণ। তাই ব্যাকপেইনকে কখনো উপেক্ষা করা ঠিক নয়।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যথা তীব্র হতে পারে ও শরীরের অন্যান্য অংশে যেমন: হাত-পায়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মেরুদণ্ডের ক্যানসারের লক্ষণগুলোর মধ্যে অসাড়তা, দুর্বলতা, বাহু ও পায়ে দুর্বলতা ও পক্ষাঘাতও অন্তর্ভুক্ত।
ফুসফুসের ক্যানসার: ফুসফুসের ক্যানসারের বিভিন্ন লক্ষণের মধ্যে একটি হলো ব্যাকপেইন। আপনি যদি পিঠে ব্যথার সঙ্গে ফুসফুসের ক্যানসারের অন্য কোনো উপসর্গ লক্ষ করেন, তাহলে ডাক্তার দেখান।ফুসফুসের ক্যানসারের লক্ষণগুলো হলো: কাশিতে রক্ত পড়া, অবিরাম শ্বাসকষ্ট, দীর্ঘস্থায়ী কাশি, যা আরও খারাপ হয় ও কাশি যা দুই বা তার বেশি সপ্তাহ ধরে থাকে।ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে যা করবেন–বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ ক্যানসারের ঝুঁকি জীবনধারার কারণে ঘটে।ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করতে হবে। প্রচুর ফল ও শাকসবজি খেতে হবে নিয়মিত।এর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Discussion about this post