হার্টবিট ডেস্ক
আজ রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস। ‘ফার্মেসি স্বাস্থ্যকর বিশ্বের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ’—এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি।
এবার অর্থনৈতিক বৈষম্যসহ সব বাধা কাটিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানে পালিত হচ্ছে দিবসটি। ২০১০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। তবে বাংলাদেশে দিবসটির উদযাপন শুরু হয় ২০১৪ সাল থেকে।
অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারে লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা পাচ্ছে, রোগের বিস্তার উল্লেখযোগ্য হারে কমছে। জীবনমান বৃদ্ধিতে এবং জীবন আয়ু বাড়াতে সাহায্য করছে।
এর উল্টোপিঠে ঘটে যাচ্ছে ভয়ঙ্কর ঘটনা। ভুলভাবে ও যথাযথ মাত্রায় প্রয়োগ না হওয়ায় বিগত দুই দশক ধরে অনেক জীবাণুর বিরুদ্ধে ব্যর্থ হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। ফলে ওষুধের প্রাচুর্যের মধ্যেও চোখের সামনে মারা যাচ্ছে শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর ভয়াবহতা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
এমতাবস্থায় জীবাণু নাশকের অকার্যকারিতা রোধে এবং এর ব্যবহারে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প নেই। তাই সাধারণভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের ইচ্ছামতো ব্যবহার রোধে কার্যকরী ভূমিকা নেওয়ার পরামর্শ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশন।
তবে ফার্মাসিস্টদের কর্মক্ষেত্রে ব্যবহারে সরকারি উদ্যোগ এখনো জোরালো হয়নি।
ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সূত্র মতে, দেশে প্রতি বছর সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট বের হচ্ছে। তবে তাদের ৮০ ভাগই সরাসরি ওষুধ উৎপাদনে কাজ করছেন। এ ছাড়া হাসপাতাল বা ফার্মেসিতে কাজের সুযোগ না থাকায় প্রতিনিয়তই দেশ ছাড়ছেন বিশাল সংখ্যক ফার্মাসিস্ট।
Discussion about this post