হার্টবিট ডেস্ক
সাড়ম্বর আয়োজনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টায় শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়নে আলোচনা সভা ও কেক কাটার মাধ্যমে বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়।
এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শামীম আহসান, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. হাফিজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডা. মো. অধ্যাপক মোহাম্মদ মনোয়ার উল হক, সাধারণ সম্পাদক ডা. প্রণয় কুমার দত্ত, হাসপাতাল পূর্ব পরিচালক ডা. অং সুঁই প্রু মারমা প্রমুখ।
এর আগে সকাল সাড়ে আটটায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি জাগ্রত রেসকোর্সে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর পুরাতন প্রশাসনিক ব্লকের প্রিন্সিপাল লবি থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের আশেপাশে গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ শেষে শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তনে এসে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক, শিক্ষক, চিকিৎসকসহ সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
১৯৫৭ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল। যা বর্তমানে দেশের একটি অন্যতম প্রধান চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে ১ বছর মেয়াদী হাতে–কলমে শিখনসহ (ইন্টার্ণশিপ) স্নাতক পর্যায়ের ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে। এই মেডিকেলে প্রতিবছর ১৯৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। এছাড়াও এখানে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এমডি ও এমএস কোর্স চালু রয়েছে।
এর আগে ১৯০১ সালে আন্দরকিল্লায় প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের প্রাঙ্গণে ১৯২৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল স্কুলের কার্যক্রম শুরু হয়। এতে চার বছর মেয়াদি এলএমএফ ডিগ্রি প্রদান করা হতো। ১৯৫৭ পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এই কলেজের উদ্বোধন করেন।
ডা. আলতাফ উদ্দীন আহমেদ ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম অধ্যক্ষ। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালই চট্টগ্রাম মেডিকেল হিসেবে সেবা প্রদান করতো। ১৯৬০ সালে এটি বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়। মাত্র ২৬ জন শিক্ষক এবং ৭৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। তখন এর বিভাগ ছিল তিনটি। এনাটমি, ফিজিওলজি এবং প্রাণ রসায়ন। ১৯৬০ সালে এতে শুধুমাত্র মেডিসিন, সার্জারি এবং ধাত্রীবিদ্যা ও স্ত্রীরোগবিদ্যা বিভাগ ছিল।
১৯৬৯ সালে বর্তমান ভবনের কাজ সম্পন্ন হলে ১৯৬৯ সালে এটি বর্তমানের সাততলা ভবনে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৯০ সালে ডেন্টাল ইউনিট এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি চালু হয়। বর্তমানে এর শয্যা সংখ্যা ১০১০। ২০০৭ সালে ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং, কম্পিউটারাইজড টমোগ্রাফিক স্ক্যান, ডিএনএ টেস্টিং চালু হয়।
Discussion about this post