হার্টবিট ডেস্ক
চট্টগ্রামের বেশিরভাগ ঘরেই এখন চোখ ওঠা রোগী। অফিসে কর্মরতদের মধ্যে বেশ একটা অংশ এবং বিদ্যালয়গুলোতে শিশুদের মধ্যে অধিকাংশই এখন এই রোগে আক্রান্ত। হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। রোগী বাড়ায় খুবই ব্যাস্ত এখন চোখের ডাক্তাররা।
চোখ ওঠা ভাইরাসজনিত একটি রোগ।এ রোগ হলে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতার অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞরা।
চোখ ওঠলে কখনো কখনো এক চোখে অথবা দুই চোখেই জ্বালা করে এবং লাল হয়ে চোখ ফুলে যায়। চোখ জ্বলা, চুলকানি, খচখচে ভাব থাকা, চোখ থেকে পানি পড়া, চোখে বার বার সাদা ময়লা আসা, কিছু ক্ষেত্রে চোখে তীব্র ব্যথা এ রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ।
এ প্রসংগে নগরীর বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা: অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, মানুষের চোখের গোলকের সাদা অংশ এবং চোখের পাতার ভেতরের অংশ পাতলা একটি স্বচ্ছ পর্দা দিয়ে ঘেরা থাকে, যার নাম কনজাঙ্কটিভা। এর প্রদাহ বা inflammation-ই হল চোখ ওঠা বা কনজাঙ্কটিভাইটিস। আমাদের দেশে এটি খুবই পরিচিত রোগ।
আমরা আশেপাশে যে কনজাঙ্কটিভাইটিস রোগীদের দেখে থাকি সেটা সচরাচর ভাইরাসের আক্রমণে হয়। তবে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, এলার্জী বা আঘাত পাওয়ার কারণেও এ রোগ হতে পারে। যে কোনো বয়সের নারী পুরুষের এ রোগটি যে কোনো সময় হতে পারে। তবে অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন পদ্ধতি এ রোগে আক্রান্ত হতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
মানুষের চোখের গোলকের সাদা অংশ এবং চোখের পাতার ভেতরের অংশ পাতলা একটি স্বচ্ছ পর্দা দিয়ে ঘেরা থাকে, যার নাম কনজাঙ্কটিভা। এর প্রদাহ বা inflammation-ই হল চোখ ওঠা বা কনজাঙ্কটিভাইটিস। আমাদের দেশে এটি খুবই পরিচিত রোগ।
আমরা আশেপাশে যে কনজাঙ্কটিভাইটিস রোগীদের দেখে থাকি সেটা সচরাচর ভাইরাসের আক্রমণে হয়। তবে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, এলার্জী বা আঘাত পাওয়ার কারণেও এ রোগ হতে পারে। যে কোনো বয়সের নারী পুরুষের এ রোগটি যে কোনো সময় হতে পারে। তবে অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন পদ্ধতি এ রোগে আক্রান্ত হতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
চোখ ওঠা রোগে যে চোখ লাল হয়ে যায় এটা কিন্ত সবারই জানা। কিন্তু কেন এমন হয়? জবাবে বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক বলেন, এই কনজাঙ্কটিভার রক্তনালীগুলো প্রদাহর কারণে এমনটি হয়। এতে চোখ ফুলে বড় ও লাল হয়ে যায়।
এই রোগে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে চক্ষু বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. জয়নাল আবেদীন বলেন,
কনজাংটিভাইটিস রোগটি আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে ছড়ায়। রোগীর ব্যবহার্য বস্তু যেমন রুমাল, তোয়ালে, বালিশ, টিস্যু অন্যরা ব্যবহার করলে অন্যরাও এতে আক্রান্ত হয়। এছাড়া কনজাংটিভাইটিসের জন্য দায়ী ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমেও ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির আশপাশে যারা থাকে, তারাও এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তাই এ সময় চোখ ঘষা বা চুলকানো থেকে বিরত থাকতে হবে।চোখ উঠলে সব সময় সানগ্লাস পড়ে থাকতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শে আই ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে। রোগীর ব্যবহার করা সামগ্রী অন্যদের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।এক চোখে কনজাঙ্কটিভাইটিস হলেও দুই চোখেই চোখের ড্রপ ব্যবহারের করা ভালো। এতে অপর চোখে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। সমস্যা এক সপ্তাহের মধ্যে না সারলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
Discussion about this post