হার্টবিট ডেস্ক
গত বছর (২০২১ সালে) করোনাভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রকোপ এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করেছিল। একদিকে করোনার সেকেন্ড ওয়েভের ধাক্কা, তার ওপর ডেঙ্গুর প্রকোপ মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলে। চলতি বছর করোনা সংক্রমণ একেবারে বন্ধ না হলেও ২০২১ সালের তুলনায় তা খুবই কম। এছাড়া গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গুর প্রকোপও এখন পর্যন্ত এ বছর কিছুটা কম। গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ১৯৭ জন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩৯৬ জন।
এদিকে, ২০২১ সালে (১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীসহ সারাদেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। এদের মধ্যে জানুয়ারিতে ৩২ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৯ জন, মার্চে ১৩ জন, এপ্রিলে ৩ জন, মে মাসে ৪৩ জন, জুনে ২৭২ জন, জুলাইয়ে ২ হাজার ২৮৬ জন, আগস্টে ৭ হাজার ৬৯৮ জন, সেপ্টেম্বরে ৭ হাজার ৮৪১ জন, অক্টোবরে ৫ হাজার ৪৫৮ জন, নভেম্বরে ৩ হাজার ৫৬৭ জন ও ডিসেম্বরে এক হাজার ২০৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হন।
তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১২৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২০ জন, মার্চে ২০ জন, এপ্রিলে ২৩ জন, মে মাসে ১৬৩ জন, জুনে ৭৩৭ জন, জুলাইয়ে এক হাজার ৫৭১ জন, আগস্টে ৩ হাজার ৫২১ জন এবং সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত ৪ হাজার ২১৫ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যা গতবছরের তুলনায় কম। তবে একক মাস হিসেবে এ বছরের সেপ্টেম্বরে (গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায়) ডেঙ্গু আক্রান্ত বেড়েছে। গত বছরের পুরো সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৭ হাজার ৮৪১ জন। অথচ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মাত্র ১৬ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ২১৫ জন ডেঙ্গুরোগী।
২০২১ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১০৫ জন। তাদের মধ্যে জুলাই মাসে ১২ জন, আগস্টে ৩৪ জন, সেপ্টেম্বরে ২৩ জন, অক্টোবরে ২২ জন, নভেম্বরে সাতজন ও ডিসেম্বরে সাতজনের মৃত্যু হয়। এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪২ জন। চলতি বছরের ২১ জুন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এরপর জুলাই মাসে ৩ জন, আগস্টে ১১ জন ও সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত মারা গেছেন ২১ জন ডেঙ্গুরোগী।
ফলে দেখা যাচ্ছে এ বছরের সেপ্টেম্বরে এসে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বাড়ছে। এমনকি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ২৩ জন ডেঙ্গুরোগী মারা গেলেও এ বছরের সেপ্টেম্বরের ১৬ দিনেই মারা গেছেন ২১ জন।
Discussion about this post