হার্টবিট ডেস্ক
ক্যারিঅন পদ্ধতি পুরোপুরি বাতিল হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ। তিনি বলেন, নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শুধু প্রথম প্রফে ক্যারিঅন থাকছে না, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রফেশনালে এটা পূর্বের মতোই বহাল থাকবে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন তিনি।
ক্যারিঅন বাতিলের বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি আরো বলেন, ‘ক্যারিঅন না থাকার বিষয়টি শুধু প্রথম প্রফে প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ প্রথম প্রফেশনালে কোনো শিক্ষার্থী ফেল করলে ক্যারিঅন করতে পারবে না। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রফেশনালে কিন্তু এটা নেই। সুতরাং ক্যারিঅন পদ্ধতি পুরোপুরি বাতিল হচ্ছে, বিষয়টি তা নয়। ফার্স্ট প্রফে অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়োক্যামিস্ট্রি—কঠিন ও মৌলিক বিষয়গুলো থাকে। এসব বিষয় পাস না করে বের হয়ে গেলে অন্য দিকে মনোযোগ দেওয়া যায় না।’
পূর্বে ক্যারিঅন না থাকার বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষার নতুন ডিজি বলেন, ‘আমাদের সময় ক্যারিঅন ছিল না। প্রতি পাঁচ থেকে দশ বছর পর পর দেশে কারিকুলাম পরিবর্তন হয়। সর্বশেষ সময়টাতে ক্যারিঅন ছিল। তখন বিভিন্ন পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে আমরা উপলব্ধি করি, মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যাটা কোথায়? এর ফলে ২০১৯ সালে যখন নতুন কারিকুলাম নিয়ে কাজ শুরু হলো, তখন এ বিষয়টি উঠিয়ে দেওয়ার মতামত আসে। এটা কিন্তু একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার। দেশের সকল বড় বড় অধ্যাপক এতে অংশ গ্রহণ করেন এবং তাদের মতামতের ভিত্তিতেই সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশন কারিকুলামটি তৈরি করেছেন। দশ বছর যে কারিকুলাম ছিল, এর অভিজ্ঞতার আলোকেই আমাদের শিক্ষকগণ মনে করেন, এতে বিভিন্ন বিষয়ের সন্নিবেশ ঘটানো উচিত।’
‘তবে পুরো বিষয়টিই এখন বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিয়ন্ত্রণাধীন , এটা এখন তাঁদের সম্পত্তি, তারা এটি পাস করেছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কোনো ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর এটি আর নির্ভরশীল নয়’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
Discussion about this post