হার্টবিট ডেস্ক
করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রয়োজনে বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের নিজস্ব কারখানায় ভ্যাকসিন, ওষুধ উৎপাদনসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে ভারত সরকারের বিশেষ সহযোগিতার কথা তুলে ধরলে ভারত থেকেও পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস পান।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় ভুটানের পারো শহরের হোটেল লা মেরিডিয়ানে ভারতের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ড. ভারতী প্রভীন পাওয়ারের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব আলোচনা করেন তিনি।
জানা গেছে, বৈঠকে উভয় দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে করণীয় সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য আলাপ-আলোচনা হয়। অল্টারনেটিভ মেডিসিন, যৌথ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা, তথ্য বিনিময়, ভ্যাকসিন উৎপাদন, ওষুধ উৎপাদন, ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন, চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদন, ল্যাব ইকুইপমেন্ট, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া নির্মূলে যৌথ প্রচেষ্টা , মেডিকেল ভ্রমণে সমঝোতা স্মারক, ফার্মাসিটিক্যালস সেক্টরের উন্নয়ন, ডিজিটাল হেলথ সার্ভিসেস, প্রভৃতি বিষয় নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও যৌথভাবে কাজ করার জন্য মতবিনিময় হয়।
বৈঠকে এছাড়াও জিরো ম্যালেরিয়া ডিক্লেয়ারেশনের জন্য ক্রস বর্ডার কর্পোরেশন নিয়েও আলোচনা হয়। এসময় করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে ভারতীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার থেকে পাঁচ দিনব্যাপী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক সভা ভুটানের পারো শহরে শুরু হয়েছে। সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলা, কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা, সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাসহ অসংক্রামক ব্যাধি মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণসহ সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে একযোগে কাজ করার কৌশল নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিতে বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভুটানে অবস্থান করছেন।
Discussion about this post