হার্টবিট ডেস্ক
বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। একইসঙ্গে সংস্থাটি পরিসংখ্যান সামনে এনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর মতো ভাইরাসের হটস্পটগুলোতে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
এর আগে সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে গত জুলাই মাসের শেষের দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাঙ্কিপক্সকে গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি বা বিশ্ব স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসাবে ঘোষণা করে। বুধবার (৩১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে চলতি বছর ৫০ হাজার ৪৯৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ড্যাশবোর্ড তালিকাভুক্ত করেছে। একইসঙ্গে সংক্রামক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬ জন।
ডব্লিউএইচও’র প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, মাঙ্কিপক্সের নতুন সংক্রমণের হ্রাস এটিই প্রমাণ করে যে, ভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবের অবসান ঘটানো যেতে পারে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মাঙ্কিপক্সের মোট সংক্রমণের অর্ধেকেরও বেশি আমেরিকার দেশগুলোতে শনাক্ত হয়েছে এবং সেখানকার বেশ কয়েকটি দেশে সংক্রমণ এখনও ক্রমবর্ধমান। যদিও কানাডায় মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ নিম্নমুখী।’
গেব্রেইয়েসুস আরও বলেন, ‘জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডস-সহ বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশেও মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাবের স্পষ্ট ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত এবং সংক্রমণ রোধে জনস্বাস্থ্য বিভাগের হস্তক্ষেপের কার্যকারিতা এখন দেখা যাচ্ছে।’
তার ভাষায়, ‘এই লক্ষণগুলোই নিশ্চিত করে যে, আমরা শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে যা বলেছি: সঠিক ব্যবস্থা নিয়ে, মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবের অবসান ঘটানো যেতে পারে।’
এর আগে সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে গত জুলাই মাসের শেষের দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মাঙ্কিপক্সকে গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি বা বিশ্ব স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসাবে ঘোষণা করে। গত ২৭ জুলাই গেব্রেইয়েসুস সাংবাদিকদের বলেন, মাঙ্কিপক্সের এই প্রাদুর্ভাব কমানো যায়। তবে সবচেয়ে ভাল পন্থা হল ঝুঁকির রাস্তা থেকে সরে আসা।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ‘নিজের জন্য ও অপরের জন্য নিরাপত্তা রাখা ও নিজের সেক্স পার্টনারের সংখ্যা কমানো’ প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, এই বার্তা সেইসব পুরুষদের জন্য ‘যারা পুরুষসঙ্গীদের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হন।’
ডব্লিউএইচও’র প্রধান সেসময় আরও বলেন, ‘যদি আমরা (যৌনসঙ্গী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে) আর একটু সংযমী ও সচেতন হই, সেক্ষেত্রে এই রোগের ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো সম্ভব। এই রোগ থেকে আত্মরক্ষা অনেকটাই নির্ভর করছে নিজের ওপর।’
Discussion about this post