হার্টবিট ডেস্ক
চট্টগ্রামে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী ১০ লাখ ৪৫ হাজার ৩২৪ জন শিশু শিক্ষার্থীকে করোনার টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। চট্টগ্রামে গত বুধবার থেকে নগরে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হয়। তবে ১৪ উপজেলায় এখনও টিকা দেয়া শুরু হয়নি। স্কুল চলাকালীন নগরে সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে টিকা প্রদান করা হচ্ছে।টিকার দ্বিতীয় দিনে ২৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়া হয়।
জানা যায়, চট্টগ্রামে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থী আছে ১০ লাখ ৪৫ হাজার ৩২৪ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৮ হাজার ৮৩৪ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯০ জন। তাছাড়া নগরে আছে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ১৯২ জন শিক্ষার্থী এবং ১৪ উপজেলায় আছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৩২ জন।
নগরের মধ্যে ডবলমুরিং থানায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৪ হাজার ৫৯৫ জন, পাহাড়তলী থানায় ৫৩ হাজার ২০১ জন, বন্দরে ৭৫ হাজার ৮৯৫ জন, পাঁচলাইশে ৬১ হাজার ৪৯৩ জন, চান্দগাঁওয়ে ৬৯ হাজার ৪২৮ জন এবং কোতোয়ালীতে রয়েছে ৪২ হাজার ৫৮০ জন শিক্ষার্থী। অন্যদিকে, বাঁশখালী উপজেলার পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর আছে ৮৫ হাজার ৩৩৮ জন, রাউজানে ৬৩ হাজার ৪৭০ জন, সন্দ্বীপে ৩৬ হাজার ৩৯৫ জন, ফটিকছড়িতে ৭৩ হাজার ১৭ জন, পটিয়ায় ৪৩ হাজার ৯১৭ জন, আনোয়ারায় ৩৮ হাজার ১০৮ জন, বোয়ালখালীতে ৩০ হাজার ২৪৫ জন, লোহাগাড়ায় ৪১ হাজার ৫৮৫ জন, চন্দনাইশে ২৯ হাজার ৩৯১ জন, হাটহাজারীতে ৪২ হাজার ৭৯৬ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৪৬ হাজার ৬৬ জন, মিরসরাইয়ে ৪৬ হাজার ৮৭৭ জন, সীতাকুন্ডে ৪৮ হাজার ৩০০ জন, সাতকানিয়ায় ৫১ হাজার ৪৯৫ জন এবং কর্ণফুলী উপজেলায় ২০ হাজার ৯৩২ জন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম ১০ লাখ ৪৫ হাজার ৩২৪ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং বেসরকারি কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেয়া হবে। এ কর্মসূচিতে যাতে কোনো শিশু বাদ না পড়ে বিষয়টি লক্ষ্য রাখছি।
Discussion about this post