হার্টবিট ডেস্ক
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশিদ আলম বলেছেন, দেশে যে অ্যান্টিভেনোম আছে তা সাপের বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর এবং দেশে এটি পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে৷ এ বিষয়টা সব কিছুর ক্ষেত্রেই হতে পারে।
সোমবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৩টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্প দংশন বিষয়ক সচেতনতামূলক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রত্যেক মানুষের প্রতিরোধ ক্ষমতা বা শরীরে ওষুধের কার্যকরিতা এক রকম না। সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণের (সিডিসি) মাধ্যমে সারাদেশে অ্যান্টিভেনোমপৌঁছে দেওয়া হয়। এরপরও আমাদের যেসব ঘাটতি আছে সে বিষয়ে কাজ করবো। যে সমস্ত চিকিৎসকরা নতুন যোগ দিয়েছেন তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এসময় তিনি বলেন, প্রত্যেক উপজেলাতেই আমাদের এ অ্যান্টিভেনোম দেওয়া আছে। যাতে মানুষ গ্রামে ওঝার কাছে না গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসে। অনেক সময় হাসপাতালে আনতে আনতেই রোগী মারা যায়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসক ভ্যাক্সিন দেয় না। কারণ জানে যে-এতে লাভ হবে না রোগী মারা যাবে। তাই সমাজের এ ভুল চিন্তা দুর করে মানুষকে সাপে কামড়ালে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ পানিবহুল দেশ হওয়াতে সাপের উপদ্রব বেশি। কিছু বিষধর সাপ নতুন করে দেশে এসেছে। এছাড়া বন্যায় পাহাড়ি সাপ লোকালয়ে আসছে কি না সে বিষয়েও আমরা সতর্ক আছি। আমরা মনে করি সবার চেষ্টায় প্রতিবছর সাপের কামড়ে যে পরিমাণ মানুষ মারা যায় তার থেকে অনেকটাই কমে আসবে।
মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক (সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. রুবেদ আমিন বলেন, এ বিষয়ে অগ্রগতি কমের পেছনে সুশীল সমাজের এ বিষয়ে সম্পৃক্ততা কম। আমরা চেষ্টা করছি সরকারি হাসপাতালে ভ্যাক্সিনের সক্ষমতা বাড়াতে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এন্টিভেনোম প্রকল্পের মুখ্য গবেষক চমেকের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এম এ ফয়েজ প্রমুখ।
Discussion about this post