হার্টবিট ডেস্ক
দেশে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী দুই কোটি ২০ লাখ শিশু রয়েছে। এরা ভাসমান শিশু হোক কিংবা স্কুলে সঠিকভাবে যেতে পারে না এমন সবাই করোনাভাইরাসের টিকা পাবে। প্রথমেই তাদেরকে সিটি করপোরেশনের আওতায় স্কুলগুলোয় টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ সোমবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী দুই কোটি ২০ লাখ শিশু রয়েছে। এই বয়সের শিশুরা যেখানেই থাকুক তাদের সকলকেই হিসাবে নেওয়া হয়েছে। ভাসমান শিশু হোক কিংবা স্কুলে সঠিকভাবে যেতে পারে না, তাদেরকেও টিকা দেওয়া হবে। বড়দের টিকাও আমরা সেভাবে দিয়েছি, প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং ভাসমান লোকদেরও আমরা টিকা দিয়েছি। শিশুদের ক্ষেত্রেও আমরা একই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘শিশুদের টিকা প্রদানের জন্য স্বাস্থ্য প্রটোকলের ব্যবস্থাও করা হয়েছে, সেখানে ডাক্তার-নার্স উপস্থিত থাকবেন। টিকা নেওয়ার পর কেউ যদি অসুস্থ হলে, সেখানে চিকিৎসার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। যারা নিবন্ধিত, তারাই টিকা নিতে পারবে। শিশুদের টিকা নেওয়ার নিবন্ধন কার্যক্রমও শেষ করতে বলা হয়েছে। শিশুরা সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমেই নিবন্ধিত হবে। আমরা শিশুদের টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে মনোযোগী রয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাস্থ্যখাতে অনেক কিছু করে গেছেন। বিএমডিসি, নিপসম, বিএমআরসিসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান করেছেন। আর এখন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্যখাত এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যখাত নিয়ে বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তিনি। তিনি প্রমাণ করেছেন আমরা সবকিছুই করতে পারি। যেমনটা করোনা মোকাবিলা করেছি, টিকায় সফলতা অর্জন করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশ গঠনে আমাদেরও এগিয়ে আসতে হবে এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। একজন নার্স রোগীকে ভালো সেবা দেবে, এটাই দায়িত্ব। একজন চিকিৎসক রোগীকে দেখে ভালো চিকিৎসা দিলো, সুস্থ করে তুললো এটাই তার দায়িত্ব। প্রত্যেককেই এটা করতে হবে, তবেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যাবে।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলানসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
Discussion about this post