হার্টবিট ডেস্ক
অনেকেই পিত্তথলিতে পাথর জমার সমস্যায় ভোগেন। শুরুতেই এই রোগ ধরা পড়লে সহজেই নিরাময় করা যায়। পাথরের আকার ছোট হলে ওষুধের মাধ্যমেই তা সারিয়ে তোলা যায়।
মানব দেহে গলব্লাডার বা পিত্তথলি মূলত লিভারের নীচে থাকে। এটি পিত্ত সংগ্রহ করে এবং হজম প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে। পিত্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে তা থেকে ক্রিস্টাল তৈরি হয়, যা ধীরে ধীরে পাথরের রূপ নেয়। পিত্তথলিতে পাথর জমলে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন-
১. গলব্লাডার পাথর হলে খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেটে ব্যথা শুরু হয়। এমনটা যদি বারেবারেই হয় তাহলে তা পাথরের লক্ষণ হতে পারে।
২. অনেক সময় বুকে ব্যথাও গলব্লাডার পাথরের লক্ষণ হতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যথা বেশি হলে পেশিতে টান বা হৃৎপিণ্ডের কাছেও ব্যথার অনুভূতি হয়।
৩. কাঁধের হাড়ে ব্যথাও পাথরের লক্ষণ হতে পারে। পিত্তথলিতে সংক্রমণের কারণে জ্বরও হয়।
৪. বাদামি রঙের মল হতে পারে পিত্তথলি সঠিকভাবে কাজ না করার সংকেত। মলের রঙের পরিবর্তন পিত্তথলিতে পাথরের লক্ষণ হতে পারে।
৫. হঠাৎ ডায়রিয়া হওয়াও পিত্তথলিতে পাথরের লক্ষণ হতে পারে। কিছু না খেলেও পেট ভার অনুভব হওয়া, গ্যাস বা পেটখারাপও পিত্তথলিতে পাথরের লক্ষণ হতে পারে। এগুলির মধ্যে যে কোনও উপসর্গই বারে বারে দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
Discussion about this post