হার্টবিট ডেস্ক
করোনা সংক্রমণ আগের মতো না থাকায়, টিকা নিতে তেমন আগ্রহ নেই অনেক মানুষের। ফলে, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের প্রায় সোয়া কোটি টিকা অব্যবহৃত রয়ে গেছে। এসব ডোজের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী নভেম্বরে।
জানা যায়, গত বছর ঠিক এ সময়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তখন নির্দিষ্ট সময়ে দেশে টিকা না পৌঁছানোর কারণে প্রায় বন্ধ হয়ে আসে টিকাদান কর্মসূচি। সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। তবে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে অল্প সময়ের মধ্যেই সংকটাবস্থা কাটিয়ে উঠে সরকার। এ সময় ৩০ কোটির মতো টিকা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কেনা ও স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে অনুদান হিসেবে এখন পর্যন্ত ৩০ কোটির বেশি ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৪ আগস্ট পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে ২৯ কোটি ৯ লাখ ৬৭৯ ডোজ। এখনো ১ কোটি ৭০ লাখের মতো ডোজ মজুত রয়েছে।
প্রথম ডোজের জন্য সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ কোটি ২৯ লাখ মানুষ। গত বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) পর্যন্ত প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৯৭ লাখ ৫২ হাজার ২১৫ জন। ফলে এখনো প্রায় ৩১ লাখ ৪৮ হাজার মানুষ কোনো ধরনের টিকাই নেননি। একইভাবে দ্বিতীয় ডোজ নেননি আরও ৯০ লাখ ৮৫ হাজার। দুই ডোজ মিলে প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ ৩২ হাজারের ডোজ অব্যবহৃত রয়েছে।
সমস্যা সমাধানে নভেম্বরের পর থেকে দুই ডোজ টিকা দেওয়া বন্ধের ঘোষণাও দিয়েছে সরকার। যাতে এ সময়ের মধ্যে যারা টিকার বাহিরে রয়েছেন তারা দ্রুত গ্রহণ করেন। তবে খুব একটা সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
কেউ কেউ বলছেন, জাতীয় কার্যক্রম হলেও মানুষকে সম্পৃক্ত করার বিষয়টিতে কখনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, তাই পরিস্থিতি এ রকম হচ্ছে।
Discussion about this post