হার্টবিট ডেস্ক
সাইনাস সংক্রান্ত মাথাব্যথায় যিনি ভুগেছেন, তিনিই জানেন এর যন্ত্রণা কতটা তীব্র হয়। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা লাগা, অতিরিক্ত গরম অথবা ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় সাইনাসের সমস্যা দেখা দেয়।এর লক্ষণগুলো হলো- বুকে কফ জমে যাওয়া, হাঁচি, মাথাব্যথা, কাশি ইত্যাদি।
সাইনাসের মতো অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে সুরক্ষিত থাকতে জীবাণুর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে এমন খাবার গ্রহণ জরুরি। সাইনাসের যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ না খেয়ে কোন কোন খাবার খাদ্য তালিকায় রাখবেন আসুন জেনে নিই।
আনারস
আনারসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি রোধ করে ও শ্লেষ্মা কমায়। এতে থাকা এনজাইম সাইনাস সারাতে কাজ করে।
তরমুজ
যদি সাইনাসের মাথাব্যথায় ভোগেন তাহলে এ থেকে মুক্তি দিতে পারে তরমুজ। কারণ তরমুজের প্রাকৃতিক পানিতে থাকা খনিজ, যেমন ম্যাগনেসিয়াম মাথাব্যথা উপশমে সাহায্য করে।
আদা
আদায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রদাহবিরোধী উপাদান। এগুলো ব্যথা কমায়, কফে রক্ত জমা সারিয়ে তোলে ও শরীরের ফোলা কমাতে সাহায্য করে।
সজনে
সজনে প্রদাহ ও শ্লেষ্মা কমাতে পারে। এর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক প্রভাব থাকায় এটি সাইনাসের মাথাব্যথার উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।
গরম স্যুপ
চিকেন কিংবা ভেজিটেবল যে কোনো ধরনের স্যুপই সাইনাসের জন্য উপকারী। গরম স্যুপ শ্লেষ্মা অপসারণ করে ফলে সাইনাস দ্রুত সেরে ওঠে।
আপেল সাইডার ভিনেগার
সাইনাসের মাথাব্যথা কমাতে আপেল সাইডার ভিনেগার একটি চমৎকার প্রাকৃতিক উপাদান।
মরিচ
মরিচ বিশেষত গোলমরিচে আছে প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করার ক্ষমতা ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা কঠিন শ্লেষ্মা ভেঙে বের করে দেয়।
রসুন
রসুনে থাকা অ্যালিসিন ব্যথা কমায়। এটি সাইনাস ইনফেকশন কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করে।
সাইট্রাস ফল
যে সব ফল ভিটামিন ‘সি’ তে পরিপূর্ণ যেমন কমলা, লেবু, আঙ্গুর ইত্যাদি তাৎক্ষণিকভাবে সাইনাস সারিয়ে তুলতে পারে।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজের কটূ গন্ধে রয়েছে অ্যান্টিথিস্টামিন। এই উপাদান সাইনাস কমাতে পারে।
Discussion about this post