হার্টবিট ডেস্ক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, করোনা ভাইরাসের বুস্টার ডোজ নেয়ার পরে চতুর্থ ডোজ নিতে হবে কিনা, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণা চলমান রয়েছে। বুস্টার ডোজ নেয়ার পরে শরীরে কি পরিমাণ এন্টিবডি থাকে সে সম্পর্কিত চলমান গবেষণার ফলাফল শীঘ্রই জানানো হবে। গবেষণা প্রাপ্ত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে চতুর্থ ডোজ নিতে হবে কিনা সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকে বেসিক সাইন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্স অনুষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘রিসার্চ প্রোটোকল: ইথিক্যাল এন্ড স্ট্যাটিসটিক্যাল ইস্যুজ’ সম্পর্কিত দিনব্যাপী ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বেসিক সাইন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্স অনুষদের অনেক কিছু করার আছে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা ভাইরাসের এন্টিবডি, জেনোম সিকোয়েন্সিং নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে একাধিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষণার ক্ষেত্রে রোগী ও জনকল্যাণ সম্পর্কিত নতুন নতুন গবেষণায় মনোনিবেশ করতে হবে। আগামী ২৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দিবস উদযাপন করা হবে। ভালো গবেষণা ও থিসিসের জন্য অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
বিশেষ অতিথি সম্মানিত প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন বলেন, বিশ্ব র্যাংকিং এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে গবেষণায় উৎকর্ষ আনয়ন করতে হবে। বছরব্যাপী গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বেসিক সাইন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার বলেন, আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে চিকিৎসা বিজ্ঞান হয়ে উঠেছে এভিডেন্স বেইজড মেডিসিন (ইভিএম), আর এই এভিডেন্স বেইজড চিকিৎসা দিতে হলে প্রথমে দরকার গবেষণা। এজন্য প্রত্যেক চিকিৎসকগণকে পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্সের ক্ষেত্রে বেশি বেশি রিসার্চ মেথোডলজি অধ্যয়ন অত্যাবশ্যকীয়। বিশেষ করে পোস্ট গ্রাজুয়েট ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ রিসার্চ করতে প্রাথমিকভাবে রিসার্চ প্রোটোকল কিভাবে তৈরি করতে হবে এবং এর পরিসংখ্যান পদ্ধতি কি ধরণের হবে সেই বিষয়ে গভীর প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, প্রতিটি গবেষণার রয়েছে নিজস্ব বিশেষ উদ্দেশ্য। একজন গবেষক তার গবেষণার রিসার্চ প্রোটোকল কিভাবে তৈরি করবে এবং এর নৈতিকতার বিষয় ও পরিসংখ্যানিক ব্যাখ্যাসমূহ কি হবে, তার প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্যই আজকের এই কর্মশালা।
তিনি আরও বলেন, শোকের মাস আগস্টের বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা-শিক্ষা ও গবেষণাকে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে উন্নীত করতে পারি, তারই দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসিক সাইন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্স অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীম, বায়োকেমিস্টি ও মলিকুলার বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post