হার্টবিট ডেস্ক
দেশের চিকিৎসা, শিক্ষা এবং গবেষণা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হলে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
গত ৩০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসিক সায়েন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকদের নিয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ‘ঈদ পুনর্মিলনী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, বেসিক সায়েন্স হচ্ছে চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণার সুতিকাগার।
২৪ বছর পর এই ধরনের অনুষ্ঠানকে বিশ্বদ্যালয়ের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেসিক সায়েন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের বিভিন্ন বিভাগকে সমৃদ্ধ করতে ইতোমধ্যেই এ্যানিমেল গবেষণার জন্য বেতার ভবনে জায়গা বরাদ্দসহ প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও বেসিক সায়েন্স অনুষদের জেনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার জন্য ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
বিএসএমএমইউ ভিসি আরও বলেন, দেশের চিকিৎসা, শিক্ষা এবং গবেষণা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হলে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। তাই তিনি আগামীতে অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে নতুন নতুন গবেষণা উদ্ভাবন করতে এ কোর্সে ভর্তি হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি সদ্য চালু হওয়া New born screening এবং First trimester screening test এর পাশাপাশি আরও নতুন নতুন প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালু করে দেশ ও জনগণের কল্যাণে এ অনুষদের অবদান জোরদার করার প্রতি আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে অনুষদের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনুষদীয় কমিটির প্রস্তাবিত গাইডলাইন অনুযায়ী ‘ভাইস-চ্যান্সেলর এ্যাওয়ার্ড’ নামে প্রস্তাবটি ডিন’স কমিটিতে এবং পরবর্তীতে একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক পাস হওয়ায় ভাইস চ্যান্সেলরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ডিন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার।
চিকিৎসা-শিক্ষা ও গবেষণার আরও অধিকতর উন্নয়নকল্পে তথা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে ভাইস-চ্যান্সেলর ইতোমধ্যেই যে পিএইচডি প্রোগ্রামের কথা বলেছেন, তা আরও বেগবান করতে জুনিয়র শিক্ষকদের প্রতি তাগিদ দেন। দেশের চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নকল্পে Research Methodology-র উপর Workshop করার উপর অধিকতর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। তার কর্মোদ্যম ও আদর্শকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণাকে এক নতুনমাত্রায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার, যার মাধ্যমে বিএসএমএমইউ হবে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ।
ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর (গবেষণাও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমি) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ।
অনুষ্ঠানটি ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসি রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু, ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবতোষ পাল, প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. জিল্লুর রহমান, ভাইরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা.এসএম রাশেদ-উল ইসলাম, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাসুম আলম।
Discussion about this post