হার্টবিট ডেস্ক
চীনের অন্যতম প্রধান শহর উহানে আবারো লকডাউন জারি করা হয়েছে। দুই বছরেরও বেশি সময় আগে এই শহরেই প্রথম করোনা ভাইরাস রেকর্ড করা হয়েছিল। শহরটিতে ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস করে। আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার ব্যক্তির শরীরে উপসর্গবিহীন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর চীনের জিয়াংজিয়া জেলার বাসিন্দাদের তিন দিনের জন্য বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চীন ‘শূন্য কোভিড’ নীতি গ্রহণ করেছে। দেশজুড়ে গণপরীক্ষা, সঙ্গনিরোধ আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন দিয়ে এই নীতি কার্যকর করার চেষ্টা করছে চীন সরকার। এই নীতি গ্রহণের ফলে চীনে করোনায় মৃত্যুহার অন্যান্য দেশের তুলনায় কমে এসেছে। তবে এই নীতির ফলে চীনের অনেক মানুষ বিরক্ত, কারণ তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, দুই দিন আগে করোনার নিয়মিত পরীক্ষায় দুই ব্যক্তির শরীরে উপসর্গবিহীন করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে আরও দুজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর লকডাউনের আদেশ জারি করা হয়।
এর আগে চীনের অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত সাংহাইয়ে লকডাউন জারি করেছিল চীন সরকার। দুই মাসের কঠোর লকডাউনের পর গত মাসে সাংহাই থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর উহানে লকডাউন জারি করা হলো।
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, উহানের হুয়ানান সামুদ্রিক খাবার ও বন্য প্রাণীর বাজার থেকে প্রথম করোনা ছড়িয়েছিল এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত দুই নতুন গবেষণায় ভাইরাসটি চীনের উহানের ল্যাব থেকে নয়, বরং বন্য প্রাণীর বাজার থেকেই ছড়িয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ ও মার্কিন সংবাদমাধ্যম লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসটি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের ‘উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি’র ল্যাব থেকে ছড়ায়নি, বরং উহানের হুয়ানান সামুদ্রিক খাবার ও বন্য প্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে, ২০১৯ সালে মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে চীনে ১৪ হাজার ৭২০ জন করোনায় মারা গেছেন।
করোনা ভাইরাসের সঙ্গে আড়াই বছরেরও বেশি সময় পার করে দিয়েছে মানুষ। এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী ৬৪ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসের মোকাবিলায় বাজারে এসেছে টিকা, মুখে খাওয়ার ওষুধ। তবু এখনো পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়নি করোনা।
Discussion about this post