হার্টবিট ডেস্ক
১৯৭২ সালে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চালু করে সরকার। এর পর ২০১২সালের ১৭ এপ্রিল ১৯শয্যার একটি নতুন তিনতলা আধুনিক ভবন নির্মাণ করে হাসপাতলটি ৫০শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে ৫০শয্যার কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়নি। প্রতিষ্ঠার প্রায় ৪০ বছর ওই হাসপাতালে কোনো অপারেশন হয়নি। সরকারি ওই হাসপাতালে একটি অপারেশন থিয়েটারের অভাবে ভেদরগঞ্জ উপজেলাসহ আশপাশের এলাকার অসংখ্য মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন এতদিন। তবে পলি আক্তার নামের এক প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনের মধ্য দিয়ে ৪০ বছরের সেই ভোগান্তির অবসান হলো।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসান ইবনে আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও জানান, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম ও এমপি নাহিম রাজ্জাকের প্রচেষ্টা এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপজেলা হেল্থ কেয়ার অপারেশনের প্ল্যানের লাইনডাইরেক্টর, ডেপুটি ডাইরেক্টর ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার হাসিবুর রহমান ভূঁইয়ার সহযোগিতায় গত সোমবার (২৫ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে বিনামূল্যে সিজারিয়ান অপারেশন চালু করা সম্ভব হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসান ইবনে আমিনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অপারেশন টিমে ছিলেন- ডা. মো. মাসুম আবিদ, ডা. তাসমিয়া প্রমি, ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ওয়ার্ড ইনচার্জ সাদিয়া আফরিন, স্টাফ নার্স নুরুন্নাহার।
এছাড়া হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার, সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ সব স্টাফ উপস্থিত ছিলেন।
বিনামূল্যে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয় কলি (২২) নামে ওই অন্তঃসত্ত্বার। কলির স্বামী মো. রাজু বলেন, বিনামূল্যে সিজারিয়ান অপারেশন করাতে পারায় আমরা খুব খুশি।
এ ব্যাপারে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসান ইবনে আমিন বলেন, আমরা সিজারিয়ান অপারেশন ব্যবস্থা চালু করেছি। এর ফলে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী অন্তঃসত্ত্বাদের আর শহরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ওপর নির্ভর করতে হবে না।
এছাড়া গত ১৩ এপ্রিল এখানে চালু হয়েছে প্যাথলজি ল্যাব। যেখানে ইসিজি ও আল্ট্রাসনোগ্রামসহ ২০ রকমের পরীক্ষা করা হয়।
Discussion about this post