হার্টবিট ডেস্ক
করোনা ভাইরাস, মাঙ্কিপক্সের মধ্যে এবার নতুন আতঙ্কের নাম ‘মারবার্গ ভাইরাস’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক নিশ্চিত করা হয়েছে, এরই মধ্যে ঘানায় ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
মারবার্গ ভাইরাস কী ও কীভাবে ছড়ায়?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মারবার্গ ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক। ইবোলা পরিবারের ভাইরাস এটি। জানা গেছে, বাদুড়ের থেকেই নাকি ছড়ায় এই ভাইরাস।
জানা গেছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সরাসরি সংস্পর্শে এলে বা আক্রান্তের শরীর থেকে বেরিয়ে আসা তরলের সংস্পর্শে এলে রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এছাড়া ওই ভাইরাস ছড়িয়ে থাকা কোনো স্থান বা বস্তুতে হাত দেওয়ার পর ওই হাত মুখে দিলেও সংক্রমণ ঘটতে পারে যে কারও।
কতটা ভয়ংকর এই রোগ?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মারবার্গ ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক। সেক্ষেত্রে এই ভাইরাসের মারণ ক্ষমতাও অনেকটাই বেশি। এই ভাইরাসের ফ্যাটালিটি রেট নাকি প্রায় ২৩-৯০ শতাংশ।
মারবার্গ ভাইরাসের লক্ষণ কী কী?
জানা গেছে, এই ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে নানা ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে দেখা দিতে পারে অত্যন্ত জ্বর, কাঁপুনি, মাথা ব্যথা কিংবা শরীরে ব্যথা।
এর সঙ্গে অস্বস্তি থাকে। প্রথম কয়েকদিন এভাবেই চলে। ৫ দিন পর থেকে শরীরে র্যাশ দেখা দেয়। যা ফুটে ওঠে পিঠ ও পেটে। পাশাপাশি শুরু হয়ে যায় পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি। এর সঙ্গে হতে পারে ডায়রিয়া।
এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে ধীরে ধীরে শারীরিক সমস্যা আরও বাড়ে। এর থেকে হতে পারে জন্ডিস, পেটে সমস্যা, ওজন দ্রুত কমে যাওয়া, কিছু বুঝতে না পারা, শক, লিভার ফেইলিওর, বিভিন্ন অঙ্গের কার্যহানী, হেমারেজ ইত্যাদি।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই রোগ দেখে টের পাওয়া বেশ মুশকিল। কারণ কোভিড থেকে শুরু করে ম্যালেরিয়া বা টাইফয়েডর উপসর্গের সঙ্গে এর কিছুটা মেলে। এছাড়া বিভিন্ন হেমারেজিক ফিভার যেমন ইবোলা, লাসা জ্বরের সঙ্গেও এর মিল পাওয়া যেতে পারে।
এই ভাইরাস শনাক্ত করতে হলে আরটিপিসিআর টেস্ট জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা খুবই চিন্তিত এই অসুখ নিয়ে। চেষ্টা করা হচ্ছে আক্রান্তদের আলাদা রাখতে। তবেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া আটকানো যাবে।
সূত্র: মেডিসিন নেট/ হু
Discussion about this post