হার্টবিট ডেস্ক
দেশের ৭৬.০৫ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক। এছাড়া ৭০.৩ শতাংশ দ্বিতীয় এবং ১৭.৯ শতাংশকে বুস্টার (৩য়) ডোজ দেওয়া হয়েছে, বলে জানান তিনি। জনগণ করোনার বুস্টার ডোজ নিতে এগিয়ে আসছে না। এখন পর্যন্ত ২০ শতাংশ মানুষকেও বুস্টার ডোজের আওতায় আনা যায়নি।
সোমবার (১৮ জুলাই) বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, সুরক্ষা রেজিস্ট্রেশনের জন্য শিশুদের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নাম্বারের প্রয়োজন হবে। তাই দেশের অভিভাবকদের দ্রুত শিশুর ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করার আহ্বান জানান তিনি।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক অপ্রতুলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার দেশের আপামর জনসাধারণকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানে বদ্ধ পরিকর। বর্তমানে দেশে ৫ ধরনের (অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক এবং জনসন ও জনসন) প্রায় ২.৭৮ কোটি ডোজ টিকা মজুত রয়েছে।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে বুস্টার ডোজ দিবসের ক্যাম্পেইন। সুষ্ঠুভাবে টিকা প্রদানের লক্ষ্যে সারাদেশে ১৬ হাজার ১৮১টি টিকাকেন্দ্রের (৬২৩টি স্থায়ী ও ১৫ হাজার ৫৫৮টি অস্থায়ী) ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাহিদ মালেক জানান, এই ক্যাম্পেইন চলাকালে দেশের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলাসমূহের ওয়ার্ড পর্যায়েও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। একদিনে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে সুষ্ঠুভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যে সারাদেশে প্রায় ৬২৩টি স্থায়ী ও ১৫ হাজার ৫৫৮টি অস্থায়ী কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
ক্যাম্পেইনে একসঙ্গে প্রায় ৩৩ হাজার ২৪৬ জন টিকাদানকর্মী এবং ৪৯ হাজার ৮৬৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। ক্যাম্পেইনে দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ৪ মাস পার হয়েছে এরূপ ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে এবং প্রথম ডোজ পাওয়ার নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও যারা দ্বিতীয় ডোজ নেননি এরূপ ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক প্রমুখ।
Discussion about this post