ডা. শুভাগত চৌধুরী
আমাদের শরীরের রোগ সুরক্ষাব্যবস্থাকে বলে ইমিউন সিস্টেম। প্রতিদিন এটি যুদ্ধে অবতীর্ণ হচ্ছে। যে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া চুপিসারে দেহে ঢোকে, তাদের লড়াই করে তাড়িয়ে দেয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে ভুল করে ইমিউন সিস্টেম। দেহের সুস্থ কোষদের শত্রু মনে করে, তাই এদের আক্রমণ করে। তখন হয় অটো ইমিউন রোগ।
এই রোগ কয়েক রকমের। হয়তো আক্রমণ করে একধরনের টিস্যু, যেমন ভাসকুলাইটিস। আবার আক্রমণ করতে পারে শরীরের নানা অংশ, যেমন লুপাস।
বেশির ভাগ অটো ইমিউন রোগ ঘটায় প্রদাহ। উপসর্গ নির্ভর করে কোন অংশ আক্রান্ত তার ওপর। হতে পারে ব্যথা হাড়ের গিঁটে বা পেশিতে, আবার হতে পারে ত্বকের ফুসকুড়ি (স্কিন র্যাস), জ্বর, ক্লান্তি। এ রোগের কারণ এখনো অজানা। তবে অটো ইমিউন রোগের ঝুঁকি, রোগনির্ণয় ও চিকিৎসার কিছু জানা গেছে।
কী কী কারণ ও লক্ষণ
- কিছু অটো ইমিউন রোগ বিরল, আর কিছু বেশ দেখা যায়। রিউমাটোয়েড আর্থ্রারাইটিস।
- কিছু জিন হতে পারে দায়ী
- পরিবেশগত উপাদান
- খুব বেশি রোদের মুখোমুখি
- কিছু ভাইরাস যেমন এপসটাইন ভাইরাস থেকে মাল্টিপল স্কলেরসিস।
- বয়স, লিঙ্গ, ধূমপানের ইতিহাস, ওজন।
- কিছু অটো ইম্মুন রোগ আবার নারীদের হয় বেশি।
রোগনির্ণয়ে সময় লাগে। লক্ষণ বিবেচনা। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা। রক্তে অটোএনটিনডি পরীক্ষা, ইমেজিং প্রযুক্তি।
কী করে দমাবেন আক্রমণ
- নিরাময় নেই।
- উপসর্গ উপশম সম্ভব। করটিকোস্টেরয়েড ত্বরিত উপশম। তবে এর ব্যবহার সীমিত।
- আছে নতুন নতুন ওষুধ। লুপাসের নতুন ওষুধ।
- জীবনশৈলীতে পরিবর্তনে—ব্যায়াম, যোগ ব্যায়াম, ওয়াটার অ্যারোবিকস, সাঁতার, হাঁটা, ধূমপান বর্জন।
- আরও উন্নত চিকিৎসা বের করার চেষ্টা চলছে।
Discussion about this post