হার্টবিট ডেস্ক
সাধারণত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন কিংবা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের কলা খেতে নিষেধ করেন অনেকেই। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ কিন্তু আবার উল্টো কথা বলছেন। তাঁদের দাবি, কিছু নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটিস রোগীরাও খেতে পারেন কলা। কোনও রোগী কলা খেতে পারবেন কি না, তার অনেকটাই নির্ভর করছে কলা কতটা পেকেছে তার উপর।
১। কাঁচা কলা: এই ধরনের কলা ডায়াবেটিক ও প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুব বেশি সমস্যার নয়। বরং এই ধরনের কলায় থাকে ‘রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ’ যা ক্ষুদ্রান্ত্রে দ্রুত পাচিত হয় না। ফলে বরং নিয়ন্ত্রণে থাকে শর্করার বিপাক। পাশাপাশি পেটের গন্ডগোল সামলাতেও কাঁচকলা কাজে আসতে পারে।
২। পাকা কলা: পাকা কলাতে থাকে পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬। কিন্তু পাকা কলাতে কিছু প্রাকৃতিক ‘সুইটনার’ থাকে। তাই এই ধরনের কলা খাওয়ার আগে নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ। চিকিৎসক অনুমতি দিলে, মাঝে মধ্যে অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে পাকা কলা।
৩। বেশি পাকা কলা: কলা যখন বেশি পেকে যায় ও কিছুটা খয়েরি রঙের হয়ে যায় তখন তা ডায়াবিটিস রোগীদের খাওয়া উচিত নয়। এই ধরনের কলায় স্টার্চ ভেঙে একেবারে সরল শর্করাতে রূপান্তরিত হয়ে যায়। এই ধরনের সরল শর্করার বিপাক খুব সহজে হয়ে যায়। তাই এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বেড়ে যেতে পারে, যা বিপজ্জনক হতে পারে ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য।
Discussion about this post