হার্টবিট ডেস্ক
ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি। কারণ এই সমস্যা থেকে ঘটতে পারে হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনাও! আমাদের খাদ্যাভ্যাসের ভুল, মানসিক নানা চাপ ইত্যাদি কারণে বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ। সেখান থেকে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ তো নেবেনই, ঘরোয়া কিছু উপায়ে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। কিছু খাবার প্রতিদিন খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে-
কলা খাবেন যে কারণে
নিয়মিত কলা খাওয়ার আছে অনেক উপকারিতা। উপকারী এই ফলে আছে প্রচুর পটাসিয়াম, ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়াম। এসব উপাদান ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। কলা খেলে তা হজমে সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখে। যে কারণে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের আকাঙ্ক্ষা অনেকটাই কমে।
তরমুজের উপকারিতা
তরমুজ সারা বছর পাওয়া যায় না, তবে এটি গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু ফলগুলোর একটি। তরমুজের রয়েছে অনেক উপকারিতা। গ্রীষ্মে এটি নিয়ম করে খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্লাড প্রেসার। সেইসঙ্গে শরীরে পানির ঘাটতি দূর হবে অনেকটাই।
স্ট্রবেরির অনেক গুণ
নানা ধরনের পুষ্টিগুণে ভরা একটি ফল স্ট্রবেরি। বিদেশি এই ফল এখন আমাদের দেশেও চাষ হচ্ছে। এটি আপনি বাজারে কিনতে পাবেন। স্ট্রবেরিতে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে এসব উপাদান। নানা ধরনের খাবার, ডেজার্ট তৈরিতেও ব্যবহার করা যায় স্ট্রবেরি। স্ট্রবেরি দিয়ে সস, কেক, মিল্কশেক, স্মুদি এবং সালাদ তৈরি করে খেতে পারেন।
বেদানা খান নিয়মিত
উপকারী ফল বেদানা। নিয়মিত বেদানা খেলে তা শরীরের জন্য অনেক ধরনের উপকার করে থাকে। এই ফল এনজাইম ACE কমাতে সাহায্য করে। যে কারণে রক্তনালীর আকার নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং তার স্থিতিস্থাপকতার কারণে কমে ব্লাড প্রেসারও।
আম কেন খাবেন
বাজারে পাওয়া যাচ্ছে আম। আমের রয়েছে অনেক উপকারিতা। পাকা আম কেবল রসালো ও সুস্বাদুই নয়, এটি ফাইবার, বিটা ক্যারোটিন এবং পটাসিয়ামের একটি বড় উৎস। এসব উপাদান ব্লাড প্রেসার কমাতে কার্যকরী। যতদিন আম কিনতে পাওয়া যায়, এর স্বাদ নিন। শেক, স্মুদি, ডেজার্টে অথবা কেটে খেয়ে নিন। এতেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্লাড প্রেসার।
শাক-সবজি খাওয়ার সুফল
শাক-সবজি খাওয়ার অনেকগুলো সুফল রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো এগুলো ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। পালং শাক, বীট এবং রসুন এক্ষেত্রে ভীষণ উপকারী। এগুলোতে নাইট্রেট থাকে যা হজমের পর রূপান্তরিত হয় নাইট্রিক অক্সাইডে। নাইট্রিক অক্সাইড রক্তনালীকে প্রসারিত করে কমায় ব্লাড প্রেসার।
সালাদ খাওয়ার উপকারিতা
প্রতিদিন সালাদ খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাজা শাক-সবজি ও ফল দিয়ে সালাদ তৈরি করে খান। এই খাবার স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপযোগী। নিয়মিত সালাদ খেলে তা আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
দই কেন খাবেন
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আপনাকে দই খেতে হবে কারণ এতে থাকে পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। এসব উপাদান উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে। দইয়ে থাকে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া। স্ট্রেস এবং প্রদাহ দূর করতে কাজ করে দই। দই, ঘোল, স্মুদি, লাচ্ছি এবং রায়তা খান। এগুলো আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
ডাবের পানির উপকারিতা
নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে তা আপনাকে ভেতর থেকে হাইড্রেটেড রাখবে। এটি প্রাকৃতিকভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
Discussion about this post