হার্টবিট ডেস্ক
হাঁপানি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এডিথ কওয়ান ইউনিভার্সিটির চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা।
গত বুধবার (৬ জুলাই) ইউরোপিয়ান রেসপিরেটরি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম গেজেট থ্রিসিক্সটি।
জার্নালে বলা হয়েছে, হাঁপানির নানা ধরন নিয়ে এটিই ইউরোপীয়দের সবচেয়ে বড় গবেষণা। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, যারা গুরুতরভাবে এ রোগে ভুগছে, তাদের প্রস্রাবে একটি স্বতন্ত্র জৈব রাসায়নিক উপাদান পাওয়া গেছে। এ ধরনের উপাদান অল্প বা মাঝারি মাত্রার হাঁপানি রোগী বা সুস্থ মানুষের শরীরে নেই।
গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন ডা. স্টেসি রেইঙ্ক ও ডা. ক্রেইগ হুইলক। অস্টেলিয়ার এই বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, গুরুতর হাঁপানি রোগীদের কার্নিটাইনের মাত্রা কমে গেছে। এর ফলে একধরনের বিপাক তাদের শরীরে ঘটছে। কার্নিটাইনগুলো রোগ প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়াসহ শরীরের কোষশক্তি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করছে। এ ছাড়া গুরুতর হাঁপানি রোগীদের শরীরে কার্নিটাইন ধীরে ধীরে বিপাক হয় বলে প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকেরা।
এ বিষয়ে ডা. রেইঙ্ক বলেছেন, তাঁদের এই গবেষণার ফলাফল হাঁপানি রোগের আরও ভালো চিকিৎসাপদ্ধতি উদ্ভাবনে সহায়তা করবে বলে তাঁরা আশা করেন। উচ্চ মাত্রার এবং একাধিক ওষুধ খাওয়া সত্ত্বেও যাদের হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে থাকে না, তাদের জন্য এ গবেষণা নতুন আশা দেখাবে। হাঁপানি রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগের অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়াগুলোকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে এ গবেষণার ফলাফল।
জার্নালে আরও বলা হয়, হাঁপানি নিয়ে গবেষণার সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি হলো, গবেষকেরা সরাসরি ফুসফুস নিয়ে কাজ করতে পারেন না। ফুসফুস নিয়ে কাজ করার পদ্ধতিগুলো কঠিন হওয়ায় ফুসফুসের মধ্যে কী ঘটছে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানা গবেষকদের জন্য কঠিন। তবে ফুসফুস যেহেতু রক্তনালিতে ঘনভাবে পরিপূর্ণ, তাই বিজ্ঞানীরা ফুসফুসের মধ্য দিয়ে যাওয়া রক্তের প্রোফাইলটি তদন্ত করতে পারেন। রক্তে কোনো রাসায়নিক পরিবর্তন হলে তা প্রস্রাব থেকে নির্গত হয়, যা বিজ্ঞানীরা সহজেই পরীক্ষা করতে পারেন।
Discussion about this post