ডা. খোন্দকার মেহেদী আকরাম
করোনাভাইরাস এখন আর নতুন ভাইরাস নয়। গত আড়াই বছরে আমরা এই ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছি প্রায় সবাই। কেউ কোভিডে, কেউ সাব-ক্লিনিক্যাল সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। যারা আক্রান্ত হননি, তারা অন্তত ভ্যাকসিন নিয়েছেন। প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের বিপরীতে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে। ভাইরাসটিকে চিনে ফেলেছে আমাদের শরীরে থাকা রোগপ্রতিরোধী কোষগুলো।
সুতরাং, কোভিড নিয়ে অহেতুক ভীতির কোনো কারণ নেই। কিছুটা সাবধান এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই আমরা নিরাপদ থাকবো।
করোনা ভাইরাসের একটি ভ্যারিয়েন্টের নাম অমিক্রন। এটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে। তাই এই চতুর্থ ঢেউয়ে অনেকেই আক্রান্ত হবেন। তবে আক্রান্ত হলে ভয়ের কিছু নেই। বাসায় বিশ্রাম নিবেন। নিজেকে অইসোলেট রাখবেন ৫-৭ দিন। চিকাৎসার জন্য শুধু প্যারাসিটামলই যথেষ্ট। বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
সুতরাং, আপনার যদি হাই ফিবার বা প্রচণ্ড জ্বর আসে তাহলে এটাকে কোভিড ভেবে বসে না থেকে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ডেঙ্গুর জটিলতায় মৃত্যু হতে পারে। তবে আপনার যদি হাল্কা জ্বর আসে এবং সাথে গলা ব্যাথা, সর্দি, গায়ে ব্যাথা, সোর থ্রোট বা গলায় প্রদাহ, কাশি ও ডায়রিয়া থাকে তাহলে খুব সম্ভবত আপনি কোভিডে আক্রান্ত।
কোভিড থেকে নিজেকে রক্ষা করার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করা। এজন্য কোভিড থেকে পরিত্রাণের জন্য সবার মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি।
ডা. খোন্দকার মেহেদী আকরাম , এমবিবিএস, এমএসসি, পিএইচডি, সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট, শেফিল্ড ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্য।
Discussion about this post