হার্টবিট ডেস্ক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হেপাটোলোজি বিভাগের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলোজি ডিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে এর আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে প্রকাশিত স্যুভেনিরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি জনাব মো. আবদুল হামিদ বলেন, লিভার মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। মানবদেহে সুষ্ঠু পরিচালন প্রক্রিয়ার জন্য সুস্থ লিভারের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অনিরাপদ রক্ত সঞ্চালন ও মাদকাসক্তিজনিত কারণসহ হেপাটাইটিস ‘বি’ এবং ‘সি’ ভাইরাস সংক্রমণের ফলে দেশের মানুষের লিভারের বিভিন্ন রোগের প্রকোপ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই দেশের শীর্ষ চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলোজি ডিভিশন চালু ছিল একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, বাংলাদেশের লিভার বিশেষজ্ঞরা হেপাটাইটিস ‘বি’ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ন্যাসভ্যাক নামক নতুন ওষুধের যৌথ উদ্ভাবন করেছেন। ইন্টারভেনাশাল হেপাটোলজি ডিভিশনটিতে ন্যাসভ্যাকের নতুন ক্লিনিক্যাল শুরু হয়েছে। তাছাড়া এই ডিভিশনে লিভার রোগীদের চিকিৎসায় স্টেম সেল, ট্রান্স-আর্টারিয়াল কেমো এম্বোলাইজেশনসহ নতুন নতুন চিকিৎসা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ডিভিশনটির লিভার বিশেষজ্ঞদের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ঢাকার বাইরে সিলেটে সফলভাবে স্টেম সেল থেরাপি ও ট্রান্স-আর্টারিয়াল কেমো এম্বোলাইজেশন সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিভিশনটিতে ট্রান্সপ্ল্যান্ট হেপাটোলজিতে ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা এদেশে নিয়মিতভাবে লিভার ট্রান্স প্লান্টেশন করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমাদের সরকার নতুন নতুন চিকিৎসা প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠিত ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন এ দেশের লিভার রোগীদের আধুনিক চিকিৎসা প্রাপ্তির সুযোগকে প্রসারিত করবে। দেশের সকল মানুষের জন্য সহজলভ্য, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপনের উপযোগী দূষণমুক্ত পরিবেশ নির্মাণের মাধ্যমে একটি কল্যাণমূলক সমাজ ও রাষ্ট্র তৈরি করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যখাতে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।
Discussion about this post