হার্টবিট ডেস্ক
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রথম ডোজ পেয়ে এখন পর্যন্ত টিকার আওতায় এসেছে ১২ কোটি ৯৪ লাখ ৯৩ হাজার ৫৪৬ জন মানুষ। তবে সুরক্ষা অ্যাপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, দেশে সর্বশেষ টিকা পেতে নিবন্ধন করেছেন ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৫৩ জন। অর্থাৎ দেশের এ চলমান টিকা কার্যক্রমে ২ কোটি ৯৫ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯৩ জন (প্রায় তিন কোটি) মানুষ নিবন্ধন ছাড়াই টিকা নিয়েছেন।
জানা গেছে, দেশে এখন পর্যন্ত টিকার নিবন্ধনকারীদের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধন করেছেন ৯ কোটি ১১ লাখ ১ হাজার ৮৮৭ জন। আর পাসপোর্টের মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন ১৬ লাখ ২৮ হাজার ১০৩ জন। এছাড়াও জন্ম সনদ দিয়ে নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৭ হাজার ৭৬৩ জন।
এদিকে, টিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করলেও তৃতীয় ডোজে (বুস্টার) অনেকটাই পিছিয়ে আছে দেশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে গত একদিনে বুস্টার ডোজ টিকা পেয়েছেন এক লাখ ৫২ হাজার ৬০২ মানুষ। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ পেয়েছেন দুই কোটি ৯৫ লাখ ৯ হাজার ৯২৭ জন মানুষ।
এতে বলা হয়েছে, দেশে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৯৪ লাখ ৯৩ হাজার ৫৪৬ জন। এছাড়া দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৭ হাজার ৭৯০ জন মানুষ।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার) সারাদেশে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৬ হাজার ৬৯৬ জনকে, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩০ হাজার ১৮৬ জনকে। এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।
গত ১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯০১ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৬৫৮ জনকে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এই পর্যন্ত ৩ লাখ ৭০ হাজার ৯৪৯ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদেরকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post