হার্টবিট ডেস্ক
চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাতশোর বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে চার লাখের নিচে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ইতালিতে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে তাইওয়ান, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া ও রাশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৫ কোটি ৪০ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৩ লাখ ৬০ হাজার।
আজ রোববার (৩ জুলাই) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭২৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ছয় শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৩ লাখ ৬০ হাজার ৭৮৭ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে সোয়া তিন লাখের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ কোটি ৪০ লাখ ৩১ হাজার ৫ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ইতালিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ হাজার ৭০০ জন এবং মারা গেছেন ৫৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ৯৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮৪ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে রয়েছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এই দেশটি করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭৪ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪২ হাজার ৭২০ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ২৪ লাখ ৭৬ হাজার ৯২০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৭১ হাজার ৯৩৮ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ২৪৫ জন এবং মারা গেছেন ২৭ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৯৫ লাখ ২২ হাজার ৩২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৪৩ হাজার ৩০৮ জন মারা গেছেন।
তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৬ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৮২৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৮ লাখ ৩৭ হাজার ৮৫৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৮৬৮ জনের। একইসময়ে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ১২৫ জন এবং মারা গেছেন ১৬ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫১ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ২৮৫ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৪ লাখ ৩৬ হাজার ৬৭৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ২১৬ জনের। একইসময়ে উত্তর কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১০০ জন এবং দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৭৩ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৬৮৯ জন এবং মারা গেছেন ৫৪ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫০৮ জন এবং মারা গেছেন ১৭ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৩৬৫ জন এবং মারা গেছেন ৩৮ জন।
Discussion about this post