হার্টবিট ডেস্ক
যুক্তরাজ্যে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে ৩২ শতাংশ। বর্তমানে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৩ লাখ, অর্থাৎ দেশটির প্রতি ৩০ জন মানুষের মধ্যে ১ জন করোনা পজিটিভ।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিকটিক্স (ওএনএস) শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এই তথ্য। বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের চার প্রদেশ ইংল্যান্ড, ওয়েলস, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের বর্তমান ও এক সপ্তাহ আগের সংক্রমণ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
ওএনএসের বিবৃতি অনুযায়ী, ইংল্যান্ডে এক সপ্তাহের আগে প্রতি ৪০ জনে ১ জন করোনা রোগী ছিলেন। বর্তমানে এই হার প্রতি ৩০ জনে ১ জন।
ওয়েলসে এক সপ্তাহের আগে প্রতি ৪৫ জনে ১ জন ছিলেন করোনা রোগী। সেখানেও বর্তমানে প্রতি ৩০ জনে করোনা রোগী ১ জন।
নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে প্রতি ৩০ জনে ১ জন করোনা রোগী ছিলেন এক সপ্তাহ আগে, বর্তমানে এই হার ২৫ জনে একজন।
স্কটল্যান্টেড এক সপ্তাহ আগে প্রতি ২০ জনে ১ জন ছিলেন করোনা রোগী। বর্তমানে সেখানে এই হার পৌঁছেছে ১৮ জনে ১ জন।
ওএনএসের কর্মকর্তা সারাহ ক্রফটস বিবিসিকে বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে যুক্তরাজ্য জুড়ে করোনায় আক্রান্ত রোগী বেড়েছে ৫ লাখেরও বেশি। এই রোগীদের অধিকাংশই করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ধরন ওমিক্রন পরিবারের বিএ পয়েন্ট ফোর এবং বিএ পয়েন্ট ফাইভে আক্রান্ত।
সারাহ ক্রফটস জানান, যুক্তরাজ্যের প্রধান প্রদেশ ইংল্যান্ডের সব এলাকায় সব বয়সীদের মধ্যেই বাড়ছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ।
ওএনএসের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ জুন যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রায় ৯ হাজার করোনা রোগী। এই সংখ্যা তার আগের মাস মে’র তুলনায় দ্বিগুণেরনও বেশি।
যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলোতে করোনার মাঝারি উপসর্গে ভোগা রোগীদের পাশাপাশি বেড়েছে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের সংখ্যাও। গত মে মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা ছিল ১১১ জন, জুনের ৩০ তারিখ এই সংখ্যা পৌঁছেছে ২১১ জনে।
যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির (ইউকেএইচএসএ) ক্লিনিক্যাল প্রোগ্রাম বিভাগের পরিচালক ডা. মেরি র্যামসে জনগণকে মাস্ক ও কোভিড বিষয়ক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে বিবিসিকে বলেন, ‘বর্তমানে সংক্রমণের যে পরিস্থিতি, তাতে জনসমাগমপূর্ণ স্থানে গেলে মাস্ক পরে থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।’
‘আর কখনও যদি শ্বাসতন্ত্রে প্রদাহ, জ্বর ও শরীর খারাপ অনুভব হয়, সেক্ষেত্রে বাইরে না গিয়ে বাড়ির ভেতরেই অবস্থান করা উচিত।’
Discussion about this post