হার্টবিট ডেস্ক
দেশে ১০০ কোটি টাকা গবেষণা খাতে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, চিকিৎসা গবেষণার পরিধি বাড়ানো হবে।
রোববার (২৬ জুন) রাজধানীর আইসিডিডিআরবি’র সাদাকাওয়া মিলনায়তনে কলেরা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল ও আইসিডিডিআরবি’তে এখন গবেষণা হচ্ছে। অন্য জায়গায়ও গবেষণার পরিধি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কলেরার টিকা আবিষ্কারে ড. কাদরী দারুণ কাজ করেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ঢাকায় প্রথমবারের মতো মুখে খাওয়া ভ্যাক্সিন দিচ্ছি। পোলিও-টিটেনাস নির্মূল হয়েছে, কলেরাও হবে। প্রতিটি জেলা হাসপাতালে একটি ডায়রিয়া-কলেরা ইউনিট করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আইসিডিডিআরবি’র সিনিয়র গবেষক ফেরদৌস কাদেরী বলেন, আইসিডিডিআরবি’তে ১৮-২০ শতাংশ ডায়রিয়া রোগী আসে তার মধ্যে ২০ শতাংশ কলেরা রোগী। কলেরাতে দেশে মৃত্যুর হার ৫.৫ শতাংশ।
ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, কলেরা রোগীকে পানি খেতে দেওয়া হবে না এমন কুসংস্কার ছিল। পানি ও নিউট্রেশনের অভাবে মারা যেতো। কিন্তু আমরা স্বল্প ব্যয়ে কলেরার মৃত্যু খুবই কমিয়ে এনেছি।
বিনামূল্যে ২৪ লাখ মানুষকে কলেরার টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে টিকা দেওয়া হবে। গর্ভবতী মহিলা এবং যারা বিগত ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা নিয়েছেন ও এক বছর বয়সের বেশি সবাই এই টিকা নিতে পারবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মিরপুরের শিশু শবনম ফারিয়াকে টিকা দেওয়ার মধ্যে দিয়ে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ কর্মসূচিতে যাত্রাবাড়ীর প্রায় ৫ লাখ, সবুজবাগের প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার, দক্ষিণখানের প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার, মিরপুরের প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার এবং মোহাম্মদপুরের প্রায় ৪ লাখ অধিবাসীকে কলেরার টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। প্রায় ৭০০টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এবং ড. তাহমিদ আহমেদ।
Discussion about this post