হার্টবিট ডেস্ক
বন্যা কবলিত ২৬ জেলায় এক হাজার ৯৭৬টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর। বুধবার (২২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য ইউনিটের (এমআইএস) ইনচার্জ ডা. মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বন্যা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও জানানো হয়, এই ২৭টি জেলার মধ্যে ৬৩টি বন্যা দুর্গত উপজেলার ৪২১টি ইউনিয়ন বন্যায় আক্রান্ত। এসব এলাকায় মোট আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৮৫৩টি। বর্তমানে ২৬ জেলায় এক হাজার ৯৭৬টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। গত ১৭ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত আক্রান্ত জেলাগুলোতে দুই হাজার ৫১৬ জন ডায়রিয়া, ১০৩ জন আরটিআই, ১৩ জন বজ্রপাতে, ৪ জন সাপের কামড়ে, ২৩ জন পানিতে পড়ে, ১৬৩ জন চর্মরোগে, ৬১ জন চোখের প্রদাহ, ৩৯ জন আঘাতপ্রাপ্ত ও অন্যান্য রোগে ৪৮১ জন আক্রান্ত হন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের চার বিভাগে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। বিভাগগুলো হলো-ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, রংপুর ও সিটেট। এসব বিভাগের বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ডায়রিয়া, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ (আরটিআই), চর্মরোগ ও চোখের প্রদাহসহ বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।
এতে জানানো হয়, গত ১৭ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন রোগবালাই ও পানিতে ডুবে মোট ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ডায়রিয়া, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ (আরটিআই), চর্মরোগ ও চোখের প্রদাহসহ বিভিন্ন রোগব্যাধিতে মোট তিন হাজার ৪০৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। আর বুধবার এক দিনে পানিতে ডুবে ও বিভিন্ন রোগে ৪৬৯ জন আক্রান্ত ও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বুধবার নেত্রকোনায় ১, জামালপুর ২ ও সিলেট ৩ জনসহ মোট ৬ জন পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
এতে আরও জানানো হয়, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, জামালপুর, শেরপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রংপুর,পঞ্চগড়,নীলফামারী, লালমনিরহাট,কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌললভীবাজারে বন্যা দেখা দিয়েছে।
Discussion about this post