হার্টবিট ডেস্ক
দেশের বন্যা কবলিত এলকাসমূহে ডায়রিয়া, সাপের কামড়, পানিতে ডুবা ও আঘাতজনিত নানা করণে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আজ বুধবার (২২ জুন) বিকেলে সারাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বন্যায় পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। গতকাল পর্যন্ত বন্যায় বিভিন্ন রোগে দুই হাজার ৯৩৪ জন আক্রান্ত থাকলেও আজ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে তিন হাজার ৪০৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ১৭ মে থেকে ২১ জুন পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৫১৬ জন। তবে এখন পর্যন্ত ডায়রিয়ায় কারও মৃত্যু হয়নি। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৩ জন, মৃত্যু নেই। বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছে ১৩ জন, তাদের মধ্যে ১২ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সর্প দংশনে চারজন আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবা ২৩ জনের মধ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১৬৩ জন, চোখের প্রদাহজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৬১ জন, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন ৩৯ জন। এ ছাড়াও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮১ জন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর এ নিয়ে তৃতীয় দফার বন্যার কবলে পড়েছে এসব জেলা। গত ১০০ বছরের মধ্যে তারা এতো মারাত্মক বন্যার মুখোমুখি হননি।
এদিকে সুরমা নদীর তীরবর্তী সিলেট নগরী, সদর, বিশ্বনাথ ও কানাইঘাট উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সিলেট নগরীর উঁচু এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় এখনো লাখো মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। বাকি উপজেলাগুলোতেও লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। ধলাই, পিয়াইন, সারি ও লোভা নদীর পানি কমায় জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকার পানি কিছুটা কমেছে। তবে পানি কমার গতি খুবই ধীর বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এই তিন উপজেলার এখনো ৯০ ভাগ এলাকা প্লাবিত রয়েছে।
Discussion about this post