হার্টবিট ডেস্ক
হৃদরোগ জীবনযাত্রাজনিত রোগ। যার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ প্রতিরোধযোগ্য। সঠিক জীবনাচরণ মেনে চললে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এজন্য ছোটবেলা থেকেই শিশুদের জীবনাভ্যাস সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। পাঠ্যবইয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনাচরণ বিষয় সংযুক্ত করাও প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (২১ জুন) প্রাণ-আরএফএল সেন্টারের কনফারেন্স রুমে ‘ঘাতকব্যাধি হার্ট অ্যাটাক: চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা এ মত ব্যক্ত করেন।
তারা হৃদরোগে চিকিৎসার পাশাপাশি সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে হৃদরোগমুক্ত থাকতে সচেতনতামূলক নানা পরামর্শ দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেশে মদ্যপান অধিক হারে বেড়েছে। এটি নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। দেশের বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠী ধূমপানে আসক্ত, এটিও বন্ধ করতে হবে। করোনাকালীন ঘরবন্দি মানুষের ফাস্ট ফুডনির্ভরতা অনেক বেড়েছে। এতে অতিরিক্ত কোলেস্টেরেল গ্রহণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হৃদরোগ থেকে বাঁচতে অবশ্যই জীবনাচরণে সচেতন হতে হবে। এর সাথে সংযুক্ত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগগুলোও সঠিক জীবনাচরণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
এসময় হৃদরোগের চিকিৎসায় শহরনির্ভরতা কমানোর পরামর্শ দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইন্টারভ্যানশনাল কার্ডিওলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান বলেন, বেশিরভাগ ক্যাথল্যাব শহরকেন্দ্রিক। কেউ যদি প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে পড়ে তাকে কোথায় নেওয়া হবে। এ নিয়ে একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন। যেন হৃদরোগীরা সবাই চিকিৎসার জন্য ঢাকামুখী না হন। স্থানীয়ভাবে ক্যাথল্যাব ও ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্স সুবিধার ব্যবস্থা হলে মানুষ সময়মতো চিকিৎসাসেবা পাবে। আমাদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য টোল ফ্রি নম্বরকে আরও কার্যকর করতে হবে।
জাগো নিউজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কে এম জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে ও প্ল্যানিং এডিটর মনিরুজ্জামান উজ্জ্বলের সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের হৃদরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. স্মিতা কানুনগো, জাতীয় রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সমীর কুমার কুন্ডু, বিএসএমএমইউয়ের কার্ডিওলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দীপলকৃষ্ণ অধিকারী, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের সিইও এবং কার্ডিওলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম এ রশিদ।
Discussion about this post