হার্টবিট ডেস্ক
অপ্রয়োজনীয় সিজার প্রতিরোধে ও মায়েদের পরিবার পরিকল্পনায় কাউন্সিলিং ও সচেতনতা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও মিডওয়াইফদের ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে মনে করেন বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটির (বিএমএস) সাধারণ সম্পাদক সংগীতা সাহা প্রেমা।
রোববার (১৯ জুন) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটে নসরুল হামিদ অডিটোরিয়ামে ‘সুস্থ শিশু সুস্থ মা মিডওয়াইফ ছাড়া হবে না’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
বিএমএসর সাধারণ সম্পাদক সংগীতা সাহা প্রেমা বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতায় কর্মরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাদের মিডওয়াইফ সম্মাননা দেওয়ার লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ২০২১ সালে ১১ জানুয়ারি একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা আশা এবং বিশ্বাস রাখছি কর্তৃপক্ষ মিডওয়াইফদের শিক্ষাগত এবং গুণগত মান বিবেচনায় রেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মিডওয়াইফদের নিয়ে একটি গান পরিবেশন করা হয়। বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মিডওয়াইফদের উৎসাহ দেন।
সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট তামিন আক্তার বলেন, ২০১০ মিডওয়াইফস (আরসিএম) এর টুইনিং প্রজেক্টের আওতায় মিডওয়াইফারি প্রোগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে ও প্রচারণায় সরকারি বেসরকারি সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এত বছরের পথচলায় এই অর্জনের ভাগীদার সংশ্লিষ্ট সবাই। জেলা ও উপজেলায় হাসপাতালে নিরাপদ নরমাল ডেলিভারির জন্য মিডওয়াইফরা কাজ করছেন।
বিএমএস’র সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দা মাহফুজা আক্তার বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে মিডওয়াইফরা অনেক কষ্ট করে কাজ করছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইউনিয়ন সাব সেন্টার ছাড়াও রোহিঙ্গা রিফুজি ক্যাম্পগুলোতে কাজ করছেন মিডওয়াইফরা সে বিষয়ে আলোকপাত করেন কার্যনির্বাহী সদস্য আরেফিন মিম। নারীর উন্নয়নে মিডওয়াইফরা সাহসী ভূমিকা রাখছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিএমএস এর প্রজেক্ট ম্যানেজার শারমিন শবনম।
অনুষ্ঠানে আমি সেই মেয়ে কবিতাটি মিডওয়াইফদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে আবৃত্তি করেন সাকিলা মতিন মৃদুলা।
Discussion about this post