হার্টবিট ডেস্ক
দেশে এক সময় কৃমি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ শতাংশ ছিল, এখন সেটি প্রায় নির্মূলের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, আগে পরীক্ষা করলে ৮০ শতাংশ কৃমি রোগ পাওয়া যেত। এখন সেটি ৭ থেকে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। এর জন্য মাল্টি সেক্টর কাজ করেছে। যে কারণে আমরা সফল হতে পেরেছি। কৃমি রোগ আমরা প্রায় নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছি।
রোববার (১৯ জুন) বিকেলে রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এসটিএইচ সামিট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে কৃমি রোগ ব্যাপক হারে ছিল। ২০০৬ সালে শুরু হয়, এখন সেটির ব্যাপ্তি ৬৪ জেলায়। ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী প্রায় দুই কোটি শিশুকে বছরের দুই বার কৃমিনাশক খাওয়ানো হয়।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহের আগে থেকে বাড়তে শুরু করেছে। এটি ৩০ থেকে ৩৫ জনে ছিল। সংক্রমণ বাড়তে থাকলে মৃত্যু বাড়বে। আমরা যদি টিকা গ্রহণ করি তাহলে আমাদের প্রতিরোধী শক্তি বৃদ্ধি পাবে। বুস্টার ডোজ নেওয়াটা খুব জরুরি। আমি সবাইকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। এসময় অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এম এম আকতারুজ্জামান স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ডা. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. ইকবাল আর্সনাল, বিএমএ সেক্রেটারি ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরি, স্বাচিপ সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা.বর্ধণ জং রানা।
Discussion about this post