হার্টবিট ডেস্ক
‘সংহতি জানানোর অন্যতম মাধ্যম রক্তদান। মানবিক এই প্রচেষ্টায় অংশ নিন, জীবন বাঁচান’ এই স্ল্লোগানকে সামনে নিয়ে ইমপেরিয়াল হাসপাতালে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। এই দিবস উপলক্ষে, যারা স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদান করে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন তাদেরসহ সাধারণ জনগণকে রক্তদানে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে ইমপেরিয়াল হাসপাতালের ট্রান্সফিউসান মেডিসিন ও ব্লাড ব্যাংক বিভাগের উদ্যোগে গতকাল সকালে একটি র্যালির আয়োজন করা হয়।
এতে হাসপাতালের সর্বস্তরের চিকিৎসক, নার্স ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। র্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ইমপেরিয়াল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, রক্তদাতাদের অবদান নিঃসন্দেহে কৃতজ্ঞতা পাওয়ার যোগ্য। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে সর্বাধুনিক ব্লাড ব্যাংকের সংকট রয়েছে। এই বাস্তবতায় ইমপেরিয়াল হাসপাতাল গড়ে তুলেছে সকল আধুনিক সুবিধা ও যন্ত্রপাতি সম্বলিত বৃহৎ ব্লাড ব্যাংক। এই ধরনের উন্নত মানের ব্লাড ব্যাংক যে চট্টগ্রামে আছে তা সকলকে জানাতে হবে, যাতে প্রয়োজনে সবাই তা ব্যবহার করতে পারে। যারা রক্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় বিদেশে যাচ্ছেন তারা এখন ইমপেরিয়াল হাসপাতালেই সেই সুবিধা পাবেন। রক্তের শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান রক্তদাতার শরীর থেকে নিয়ে তা রক্ত গ্রহীতার শরীরে দেয়ার সর্বাধুনিক ব্যবস্থা ‘এফেরেসিস সিস্টেম’ ইমপেরিয়াল হাসপাতালে রয়েছে।
ডেঙ্গু রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় এফেরেটিক প্লাটিলেট ট্রান্সফিউশন এর সুবিধা রয়েছে যা প্লাটিলেট ঘাটতি দ্রুত পূরণে সহায়ক। এ ছাড়াও রয়েছে রেড সেল, অটোলোগাস পি আর পি, ফ্রেস ফ্রোজেন প্লাজমা, ক্রায়োপ্রিসিপিটেট ট্রান্সফিউশন এর ব্যবস্থা। সমপ্রতি আমাদের ট্রান্সফিউসান মেডিসিন ও ব্লাড ব্যাংক বিভাগ, থেরাপিউটিক প্লাজমা এঙচেঞ্জ এর মাধ্যমে কিছু কিছু রক্ত রোগ ও স্নায়ু রোগের চিকিৎসার কার্যক্রম শুরু করেছে। ইমপেরিয়াল হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক ২৪ ঘণ্টা চালু থাকার পাশাপাশি বহির্বিভাগ ও ডেকেয়ারে রয়েছে থ্যালাসেমিয়াসহ অন্যান্য রক্তশূন্যতার পরিপূর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থা। ইমপেরিয়াল হাসপাতাল ইতোমধ্যে তিন শতাধিক প্লাটিলেট এফেরেসিস ডোনারের কাছ থেকে সংগ্রহ করে রোগীর দেহে সফলভাবে পরিসঞ্চালন করেছে।
হাসপাতালের একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর ডা. আরিফ উদ্দিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ট্রান্সফিউসান মেডিসিন ও ব্লাড ব্যাংক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মোসাম্মৎ সিতারা খানম। উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের সিইও রিয়াজ হোসেন, সিএমও অধ্যাপক ডা. তারেক আল নাসির, এনেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মাসুদ আহমেদ, মাইক্রোবায়োলজী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আকরাম হোসেন, শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রাশেদা সামাদ, মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. মোস্তফা, নিউরলজী বিশেষজ্ঞ ডা. ইশতিয়াক আহমেদ, নেফ্রোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. শওকত আজাদ, রক্ত রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফাহমিদা আহমেদ, ট্রান্সফিউসান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এ, এইচ এম, আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
Discussion about this post