হার্টবিট ডেস্ক
সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রেড়ে যাওয়ায় প্রতিরোধে জনসমাগম বর্জনসহ ছয়টি প্রস্তাব দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
আজ বুধবার (১৫ জুন) কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রস্তাবের কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির (কোভিড-১৯) ৫৮তম কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে ১৪ জুন রাত সাড়ে ১০টায় জুমের মাধ্যমে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়।
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে পূণরায় উদ্ভুদ্ধ করতে সকল প্রকার গণমাধ্যমে অনুরোধ জানাতে হবে। সকল ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, “নো মাস্ক নো সার্ভিস’’ নীতি প্রয়োগ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম বর্জন করা প্রয়োজন। ধর্মীয় প্রার্থনার স্থান (যেমন- মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি) গুলিতে মাঙ্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা দরকার।
২. যাদের জ্বর, সর্দি, কাশি হচ্ছে তারাও অনেকে কোভিড টেস্ট করেছেন না এতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না এবং এ কারণে সংক্রমন বাড়ছে। এ জন্য যাদের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে এবং যারা কেভিউ-১৯ আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে আসছেন, তাদের টেষ্ট করার জন্য অনুরোধ করতে হবে।
৩. যে সময় দেশে কোভিচ-১৯ জীবানুর ভ্যারিয়েন্ট ও সাব-ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমনের হার বেশি সে সকল দেশ থেকে আমাদের দেশে আগত আক্রান্ত মানুষের মাধ্যমে প্রবেশ করছে বলে মনে করা হয়। এ জন্য বিমান, ল ও নৌবন্দরসমূহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে কোভি -১৯ নেগেটিভ সনদ, টীকা সনদ আবশ্যক করতে হবে। বিশেষত অধিক আক্রান্ত দেশগুলি হতে আগত যাত্রীদের জন্য। সন্দেহজনক ব্যক্তিদের rapid/antigen test করার ব্যবস্থা করতে হবে। সংক্রমন বাড়ার সাথে সাথে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোয়ালেন্টাইন এর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
৪. কোধি-১৯ ভ্যাকসিন এর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ যারা এখনও নিতে পারেননি তাদের এটা নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী করতে হবে। ৫ থেকে ১২ বত্সরের শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারে এনআইটিএজির পরামর্শ অনুসরণ করা দরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চতুর্থ ডোজ অনুমোদন করলে তা নিবেচনা করতে হবে। কোভি-১৯ এর ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করার জন্য সম্ভাব্যতা বিবেচনা করা দরকার। ভ্যাকসিন পরবর্তী প্রতিরোধ ক্ষমতা কতদিন বজায় থাকছে যে সম্বন্ধে গবেষণা করা প্রয়োজন।
৫. কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য যে বিশেষ শয্যা, আইসিইউ ব্যবস্থা ও জনবল ছিল, তা বর্ধিত হারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন।
৬. সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন হলে আন্তঃমণালয় সভা করা যেতে পারে।
Discussion about this post