হার্টবিট ডেস্ক
বান্দরবানের থানছি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের ৭টি পাড়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত সাত দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সেখানে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। ডায়রিয়া পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত আটজনের মৃত্যু হয়, এদের মধ্যে এক পাড়া প্রধানও (কার্বারি) আছেন। এখনো ডায়রিয়ায় আক্রান্ত আছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।
জানা যায়, কিছুদিন ধরে পাহাড়ে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। দূষিত পানি পান করায় রেমাক্রী ইউনিয়নের দুর্গম মেন থাং পাড়া, নারিচা পাড়া, ইয়ং নং পাড়া ও সিং চং পাড়ায় অনেক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। দুর্গম এলাকা হওয়ায় ওষুধ ও খাবার স্যালাইনের অভাবে আক্রান্তদের অনেকে মারা যাচ্ছেন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ওষুধসহ বেশ কয়েকটি মেডিকেল টিম ডায়রিয়া উপদ্রব এলাকায় কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
দুর্গম এলাকা এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় আক্রান্ত ওইসব পাড়ার সংবাদ থানছি সদরে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রেমাক্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুশৈথুই মারমা জানান, মিয়ানমার সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকার লোকজন ঝিরি-ঝরনার দূষিত পানি পান করায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। পাড়া প্রধানসহ এ পর্যন্ত আটজন মারা গেছেন।
থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হাবিবা জান্নাতুল তুলি জানান, বৃষ্টির পর ঝিরি-ঝরনার ঘোলা পানি (যেখানে তারা গোসল করে) পান করছেন পাহাড়ের অনেকে। তাই তারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, রেমাক্রীর আন্দারমানিক দুর্গম এলাকা থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে সময় লাগে, তাই রোগ হলে তারা গুরুত্ব দেয় না। তবে ১০ জনের একটি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।
Discussion about this post