হার্টবিট ডেস্ক
দেশের সব সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় হাসপাতাল থেকে উৎপন্ন মেডিক্যাল বর্জ্য পোড়ানোর জন্য ইনসিনারেটর প্ল্যান্ট স্থাপনে অর্থায়নের আগ্রহ প্রকাশ করেছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ওয়াসায় পিপিপি মডেলে নতুন একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনে বিনিয়োগেরও আগ্রহ দেখিয়েছে তারা।
রোববার (১২ জুন) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এ আগ্রহের কথা জানান।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জাপানের অর্থায়নে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট স্থাপনের আগ্রহকে স্বাগত জানান। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে এ ব্যাপারে প্রস্তাব দিলে তা যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে রাষ্ট্রদূতকে জানান তিনি।
এসময় মন্ত্রী বলেন, মেডিক্যাল বর্জ্যগুলোকে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সব মেডিক্যাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে তাদের মেডিক্যাল বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলে জীবাণুমুক্ত করে নির্ধারিত ব্যাগে ভরে বর্জ্য সংগ্রহকারীদেরকে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, মেডিক্যাল বর্জ্যর পাশাপাশি শিল্প ও ইলেকট্রনিক বর্জ্য সম্পর্কেও জনগণকে সচেতন হতে হবে। পরিবেশ সম্মত উপায়ে এসব বর্জ্য ডিসপোজাল করতে পারলে পরিবেশ দূষণ রোধ করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে শহর ও পল্লী এলাকায় জাইকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব পরিকল্পনা নিয়েছেন সেগুলো বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী হবে। বাংলাদেশের উন্নয়নে অনেক সহযোগিতা করেছে জাপান, সেই সহযোগিতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দীর্ঘ পথপরিক্রমায় এই সম্পর্ক আজ অত্যন্ত সুদৃঢ়। আশাকরি ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
Discussion about this post