হার্টবিট ডেস্ক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ২১ জন রোগী বর্তমানে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তাদের শারীরিক অবস্থার ‘অনেক উন্নতি’ হলেও ছাড়া পেতে আরও ১৫ দিন সময় লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
গত শনিবার (১১ জুন) দুপুরে গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন তিনি।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সার্বিকভাবে দিনদিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা ধারণা করছি, রোগীদের চোখের বড় সমস্যাগুলো ১৫ দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। পোড়া অবস্থাও এই সময়ের মধ্যে সেরে উঠবে বলে আমরা আশা করছি। দুই-একজনের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হতে পারে।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রোগীদের সবশেষ অবস্থা রবিবার পর্যালোচনা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এদিন চোখের চিকিৎসকসহ আমাদের চিকিৎসকরা রোগীদের দেখবেন। তারপর বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব কাউকে ছাড়পত্র দেওয়া যায় কিনা।
চোখের সমস্যার বিষয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, রোগীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা চলছে। চোখের সমস্যার অনেকদিন চিকিৎসা করাতে হবে। মাঝে মাঝেই ফলোআপে আসতে হবে। দেখা যাক, ফলাফল কী দাঁড়ায়!
পোড়া রোগীদের স্বাস্থ্যগত অগ্রগতির ক্ষেত্রে তিনি বলেন, একজনের অবস্থা খুব খারাপ, তিনি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া বাকিদের অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা ‘মোটামুটি স্থিতিশীল’ থাকলেও পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।
রোগীরা কবে নাগাদ ছাড়া পেতে পারেন, তা নিয়ে স্বজনদের দুঃশ্চিন্তার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, দুই-একদিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সকলে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে যখন দেখব যে, চোখের আর ফলোআপ করার প্রয়োজন নেই, তখনই ছাড়া পাবেন রোগীরা।
সবশেষ (১১ জুন) তথ্য অনুযায়ী, বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ২১ জনের মধ্যে তিন জন আইসিইউতে আছেন। তাদের মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। একজন সাধারণ ওয়ার্ডে ও বাকিদের চিকিৎসা চলছে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে (পিওডাব্লিউ)।
বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, এখনও (১১ জুন) ‘ভেরি ক্রিটিক্যাল’ অবস্থায় আইসিইউতে রয়েছেন দুই জন, দুই ফায়ার সার্ভিসকর্মী গাউসুল আজম ও রবিন। ‘ক্রিটিক্যাল’ অবস্থায় আছেন নজরুল ইসলাম মণ্ডল, এসকে মইনুল হক ও খালেদুর রহমান। তাদের মধ্য খালেদুর করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাকে কেবিনে রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া ‘স্ট্যাবল’ অবস্থায় রয়েছেন বাকি ১৫ জন। তারা হলেন- আমিন, ফারুক, সজিব, বদরুজ্জামান রুবেল, সুমন হাওলাদার, মাকফারুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, ইমরুল কায়েস, মাসুম মিয়া, ফারুক-২, এসআই কামরুল হাসান, ফরমানুল ইসলাম, শরীফ, রুবেল ও মহিব্বুল্লাহ। এর বাইরে ঢাকা মেডিক্যাল (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার করা রাসেল ও এনামুল চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে।
Discussion about this post