হার্টবিট ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ন্যাশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, লিভারের নীরব ঘাতক ন্যাশ (নন-অ্যালকোহলিক স্টিয়াটোহেপাটাইটিস) সম্পর্কে সাধারণ মানুষ খুব কমই জানে। ফ্যাটি লিভার বা লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমা হওয়ার কারণে লিভারের প্রদাহের নাম হল ‘ন্যাশ’। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে মেদ-ভুঁড়ি, ডায়াবেটিস, ডিজলিপিডেমিয়া (রক্তে অতিরিক্ত চর্বি), হাইপারটেনশন (অতিরিক্ত রক্তচাপ), হাইপো থাইরয়েডিজম এবং নারীদের পলিসিস্টিকওভারি ফ্যাটি লিভারের মূল কারণ। রোগটির পরিচিতি নতুন হলেও বিশ্বব্যাপী এই ন্যাশ এখন মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশেও একইভাবে বিস্তর ঘটছে।
গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) আন্তর্জাতিক ন্যাশ দিবস লিভার কেয়ার সোসাইটি র্যালি ও র্যালি পরবর্তী সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে। র্যালিটি নগরের প্রবর্ত্তক মোড় হয়ে গোল পাহাড় চত্বর প্রদক্ষিণ করে।
লিভার কেয়ার সোসাইটির সভাপতি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হেপাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ এডিশনাল ডিআইি মোহাম্মদ মুসলিম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হেপাটোলজি বিভাগের প্রধান ডা. আলোক কুমার রাহা, সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাহ উদ্দীন শাহেদ চৌধুরী, ডা. দীলিপ চৌধুরী, এপিক হেলথ কেয়ারের সিওও ডা. মোহাম্মদ এনামুল হক, এজিএম মো. আরেক হোসেন, অপারেশন্স ম্যানেজার ডা. হামিদ হোছাইন আজাদ, সিনিয়র পুষ্টিবিদ মিসেস হাসিনা আক্তার লিপি, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, ইসলামী ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আসিসুল হক ও ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দীন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ফ্যাটিলিভারের সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসাটির নাম ‘লাইফস্টাইল মডিফিকেশন’। এ রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত হাঁটা ও শারীরিক ব্যায়ামের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং শিশুদের জন্য খেলার মাঠ বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস করতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের ফাস্টফুডের অভ্যাস পরিবর্তন করাতে হবে। তাই ন্যাশ থেকে বাঁচতে হলে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার, স্থূলতা ও অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে বেশি জরুরি। এ জন্য ব্যাপক জনসচেতনতা অপরিহার্য।
Discussion about this post