হার্টবিট ডেস্ক
বিছানায় প্রস্রাব করা শিশুদের অন্যান্য রোগের মত একটি রোগ বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুর ১২ টায় বিশ্ব বিছানায় প্রস্রাব দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু নেপ্রোলজি বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা সবাই চাই শিশুর হাসিমাখা মুখ দেখতে। শিশুদের মুখের এ হাসি কেড়ে নেয় রোগ ব্যাধি। শিশুদের অন্যান্য রোগের মত বিছানায় প্রস্রাব করাও একটি রোগ। তবে সচেতনার অভাবে অনেক অভিভাবক এটিকে স্বাভাবিকভাবে নেন, লজ্জাবোধ করেন। কিন্তু বিছানায় প্রস্রাব করা একটি রোগ হিসেবে চিকিৎসা করা হবে। বিছানায় প্রস্রাব কার মূল কারণ হতে পারে শিশুর ইউরিন ইনফেকশন, কিডনি রোগ। এমন হলে অভিভাবকদের উচিত হবে দ্রুত শিশুকে চিকিৎসা করানো। শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব করা রোগ নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে সেটি স্ক্রিনিং করে চিকিৎসা দিলে আক্রান্ত শিশুটি দ্রুত সুস্থ ও স্বাভাবিক হয়ে ওঠবে।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিশু নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম ও অধ্যাপক ডা. রনজিত রঞ্জন রায়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ‘শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব করা একটি রোগ। ইউরিন ইনফেকশন ও কিডনি রোগের কারণেও এটা হতে পারে। প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণের অসম্পূর্ণতা বা অপরিপক্বতা থাকে ওই শিশুদের। যার ফলে শিশুটি ঘন ঘন প্রস্রাব করে, যখন তখন যেখানে সেখানে প্রস্রাব করে। বিষয়টি খোদ শিশু ও তাদের মা-বাবার জন্য বিব্রতকর ও অস্বস্তিকর হলেও পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১০-১৫ শতাংশ ছেলে-মেয়েরা পাঁচ বছর বয়সেও বিছানায় প্রস্রাব করে। সাধারণত ৬ থেকে ১২ বছরের বয়সের শিশুরা বিছানায় প্রস্রাব করা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে অধিকাংশ অভিভাবক এটি রোগ হিসেবে আমলে নেন না। আমলে না নেওয়ার ফলে শিশুরা কষ্ট ভোগ করে।’
Discussion about this post